কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর শফি ও সহকারী সাব ইন্সপেক্টর আসাদ রোববার ( ২৩ অক্টোবর) সকালে রুবেলের হাউজিংয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়।
একটি মামলার ওয়ারেন্ট হাতে করে পুলিশ তার বাড়িতে যায়। সাংবাদিক সমাজ বলছে, এটি পুলিশের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। নিহত রুবেলের চাচা মিজানুর রহমান মেজর জানান, পুলিশ ডেট সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক রুবেলের বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে।
গত ৩ জুলাই কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী গেটে অবস্থিত নিজ কার্যালয় থেকে নিঁখোজ হন দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেল। ওই দিন রুবেলের ছোট ভাই মাহাবুব কুষ্টিয়া মডেল থানার সাধারণ ডায়েরী করেন।
জীবিত রুবেলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ৭ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা সেতুর নিচ থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এব্যাপারে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের হয়।
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাংবাদিকরা। ৮ জুলাই কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ। প্রায় ৩ ঘন্টা খুলনা থেকে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করতে থাকে রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ মামলার কোন মোটিভ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। র্যাব সন্দেহভাজন সোহান ও জুয়েল নামের দুইজনকে আটক করে অপরদিকে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে ইমন নামের এক যুবককে আটক করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেন রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে এই বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে গত ১০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার আয়োজনে খুলনা বিভাগের সব জেলার সাংবাদিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে। এখনও রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছে সাংবাদিকরা। সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, সারা বাংলাদেশের সকলেই জানে রুবেল খুন হয়েছে। আর কুষ্টিয়া পুলিশ জানেই না রুবেল নিহত। এটি সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের রম্য ছাড়া আর কিছুই নই। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নিহত রুবেলের চাচা ও রুবেল হত্যা মামলার বাদী মিজানুর রহমান মেজর বলেন, রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে ও মামলার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ অথচ রুবেলের নামে ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছে বাড়িতে। এর প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ রুবেলের বাড়িতে তাকে গ্রেফতারের জন্য গিয়েছিলো।
পূর্ববর্তী খবর