মেহেরপুর প্রতিনিধি :
কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর । তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। এমন সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রæত শুষে নিচ্ছে পানি। জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় ২ লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন ৩-৪ লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার।
চাষীরা জানান, তীব্র তাপদাহে ধানের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। ধানে চিটা পরছ্ েমাঠে পানি রাখা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে এক বিঘা জমিতে ২৫/২৬ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার পনির কারনে সেখরচ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। যে আবস্থা এবার জমিতে ১৫ হাজার টাকার ওপরে ধান পাওয়া কঠিন হয়ে পরবে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।