গাংনী প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনীতে নিলামে ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টাকারীদের হাত থেকে রেহায় পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জিয়ারুল ইসলাম নামের এক জমির মালিক। জমির মালিক জিয়ারুল ইসলাম গাংনী পৌর এলাকার ফতাইপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে গাংনী পৌর এলাকার ফতাইপুরস্থ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভূক্তভোগি জিয়ারুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জিয়ারুল ইসলাম জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে লিখিত বক্তব্যেই বলেন,গাংনী মৌজার ৬৬৯ নং খতিয়ানভূক্ত আর,এস ১০৫ নং দাগসহ অন্যান্য দাগে ০.১৫০০ একর জমি ফতাইপুর গ্রামের আজিজুল হকের দু’ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন গত ২০০৪ ইং সালের ৮ এপ্রিল ২৯৭৪ নং দলিলের মাধ্যমে জমি ক্রয় করেন। ওই জমির কাগজপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গাংনী শাখা হতে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন ফতাইপুর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী পারুলা খাতুন,তার দু’ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন। এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঋণ খেলাপী হন।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হতে বার বার টাকা পরিশোধ করার বিষয়ে নোটিশ প্রদান করা হলেও ঋণ গ্রহীতাগণ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গাংনী শাখা কর্তৃক গত ২০১৩ ইং সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ও ৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৪ ইং সালের ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই জমি ক্রয় করার জন্য আমি জিয়ারুল ইসলামসহ দুইজন অংশগ্রহণ করি। ওই সময় গাংনী উপজেলার সর্বোচ্চ করদাতা বিবেচনায় ০.২১৭৫ একর জমির মূল্য ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গাংনী শাখা কর্তৃক গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২০১৫ ইং সালের ২ এপ্রিল ২৫১৭ বিক্রয় কবলা দলিলমূলে আমার অনুকুলে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। উক্ত জমি ৬১ নং গাংনী মৌজা,আর,এস খারিজ ৬৬৯/১ হোঃ নং-২৯৯৬ বহাল,আর,এস দাগ নং-১০৫,শ্রেণী-বাড়ি,জমির পরিমাণ ০.১৫০০ একর। যা ৫৬০/৯-পি- ১/২০১৪-১৫ নং নামজারী কেসের মাধমে নামজারী করি। এছাড়াও ৪৬ নং চৌগাছা,আর,এস খতিয়ান নং-১২২৭,আর,এস খারিজ খতিয়ান নং-১২২৭/৫,হো ঃ নং-২৮৩১,শ্রেণী-ধানী। যা বর্তমানে বাড়ি। জমির পরিমাণ ০.৮৮০০ একর জমির মধ্যে ০.০৬৭৫ একর জমিসহ সর্বমোট ০.২১৭৫ একর জমির মধ্যে ০.১৫০০ একর জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ-দখল করছি। এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি।
চলতি বছরের গত ১৭ নভেম্বর ৭৭৫৭/২১ নং দলিলের জমি গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে গাংনী পৌর এলাকার চৌগাছা গ্রামের পূর্বপাড়ার সামসের মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। গত ২১ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সনচিতা ইসলাম ওরফে মর্জিনা জোরপূর্বক আমার বাড়ি দখল করতে আসেন। পরে আমার নামীয় মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এবং রফিকুল ইসলাম নামে নতুন মিটার স্থাপন করেন। পরবর্তিতে পল্লীবিদ্যুত কর্তৃকপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে রফিকুল ইসলাম নামের মিটার সংযোগ বাতিল করে পূনরায় আমার নামীয় মিটার সংযোগ প্রদান করে। বর্তমান রফিকুল ইসলাম আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করছেন। বর্তমান আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এবিষয়ে ২৫ ডিসেম্বর গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। যার নং-১০৭০।
পূর্ববর্তী খবর