গাংনী প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনীতে পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় ছোট একটি দোকানের মাসিক বিদ্যুত বিল ধরা হয়েছে ৫০ হাজার, ২৪২ টাকা। এনিয়ে গ্রাহক গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজারের ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ অভিযোগ তুলেছেন।
গাংনী পৌর এলাকার হাসপাতাল বাজারস্থ মিটার নং- ১৩৪/৮২৪০ এর মালিক নুর মোহাম্মদ। তিনি জানান, ২০১৩ সালে মিটারটি আবাসিক হিসাবে নিলেও পরবর্তিতে সেটি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংযোগ হিসাবে রুপান্তরিত করে নিই। সে ভাবেই প্রতি মাসে বিদ্যুত বিল দিয়ে আসছি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিদ্যুত বিলের কাগজ প্রদান করেছে পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ। অথচ,গত বছরের ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুত বিল ছিল ৩৬০ টাকা। গত জানুয়ারী মাসেও বিদ্যুত বিল ছিল ৪১৬ টাকা।
মিটারটির ব্যবহারকারী রানা বেডিং এর মালিক সোহেল রানা জানান, আমার প্রতি মাসের বিদ্যুত বিল আসে ৩শ থেকে সাড়ে ৪ শ টাকার মধ্যে। হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিদ্যুত বিল দেখার পরে শনিবার আমি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত এর গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএমের সাথে দেখা করি। তিনি বলেছেন, সংযোগের মূল মালিককে যোগাযোগ করতে ।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহকের সংযোগটি ২০১৩ সালে নেওয়া। এই সংযোগটি আবাসিক সংযোগ ছিলো। পরে সংযোগটি বাণিজ্যিক হওয়ায় ঢাকার অডিট আপত্তি-৭ জরিমানা/ ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৯ হাজার ১৭৬ টাকা এবং বাণিজ্যিক বিল হিসাবে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা ৩০ পয়সা দাম ধরে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা এসেছে।
২০১৩ সালে বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য বিদ্যুত বিলের দাম ১০ টাকা ৩০ পয়সা ছিল কিনা এবং এতোদিন আবাসিক গ্রাহক বাণিজ্যিক হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। এদিকে বিদ্যুত বিল বেশি ধরাকে পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনাকে দায়ি করেছেন গ্রাহক সাধারণরা।