প্রথম রাজধানী :
গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে জুবায়ের হোসেন (৪০) নামের একজনকে বেদম মারপিট করে রাত ভোর আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে গ্রামের সমাজপিতি ও ক্যাম্প পুলিশ মিলে সালিশ বিচারে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জুবায়ের হোসেনের গাংনী ষোলটাকা গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় গ্রাম বাসী জানান সোমবার রাতে জুবায়ের হোসেন স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে পেছনে জানালা দিয়ে উঁকি মারে। এসময় লোকজন তাকে আটক করে।
পরে গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে আলাল, আচেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ও মোজাফের ছেলে আজাম্মেল মিলে জুবায়ের হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে একজন অপরাধিকে এমনভাবে মারধর করা হবে সেটা কেউ ভাবেনি। লোকটির আর্তচিৎকারে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন কিন্তু আলাল, রবিউল ও আজাম্মেল কারো কথা শোনেনি। তাকে মারধর করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে প্রাইমারি স্কুলের একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। মঙ্গলবার সকালে জুবায়েরকে পুলিশে না দিয়ে সালিশে আবার মারধর করে তার কাছ থেকে পুলিশে ও সমাজ পতির উপস্থিতিতে একলাখ টাকা জরিমানা নেয়া হয়।
সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াপুকুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাছ, ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল, শরিয়ত এবং ষোলটাকা গ্রামের সাবেক মেম্বর ময়নাল হক, বর্তমান মেম্বর মহিবুল হক, হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবিরসহ ক্যাম্প পুলিশের একটি দল।
ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল জানান, জনগনের মতামতের ভিত্তিতে ৩০০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা সহ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ টাকা সামাজিক কাজে ব্যয় করা হবে।
সাবেক মেম্বর ময়নাল হক জানান, তিনিসহ ষোলটাকা গ্রামের লোকজন জুবায়েরকে নিতে এসেছিলাম। বানিয়াপুকুর গ্রামের সমাজপতিরা জুবায়েরকে না দিয়ে জরিমানা করেছে এবং মুচলেকা লিখে নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিতিতে সমাজপতিরা যে জরিমানা করেছে তা সম্পুর্ণ অবৈধ।
হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবির জানান, তিনি খবর পেয়ে গিয়েছিলেন এবং লোকজনের বাঁধার মুখে জুবায়েরকে থানায় নিতে পারেন নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে মোটা অংকের টাকা জরিমানা ও মুচলেকা লিখে নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ অজানা।