প্রথম রাজধানী :
সামান্য একটু বৃষ্টিতেই মেহেরপুরের আঞ্চলিক মাহাসড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলি ইট ভাটার কাদা মাটিতে চলা চলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এতে সড়ক দুঘটনায় অঙ্গহানী সহ নিহতর ঘটনা ঘটছে। তবে প্রশাসনের দবি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পথচারিদের অভিযোগ কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটাই যাচ্ছে। সেই মাটি বহনের সময় সড়কে পড়ছে। কিন্তু পরিস্কার না করায় এর খেসারত দিতে হয় পথচারিদের। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুঘটনা। প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তবে প্রশাসন বলছে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বিভিন্নভাবে অবগত হয়েছি দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানাগেছে, মেহেরপুর জেলায় তিন উপজেলায় ১০৩ টি ইটভাটা শীতের শুরুতেই মাটি কেনা শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমির উপরের (টপ সয়েল)কেটে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ট্রলি দিয়ে ভাটায় নেওয়া হয়। মাটি বহনের সময় ট্রলির মাটি রাস্তায় পড়ে। গত দুদিন থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিবৃষ্টি হওয়ায় পাকা রাস্তাগুলি পিচ্ছিল হয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের শাকিল আহম্মেদ জানায়, শ্যামপুর কালিগাংনী মাঠের মধ্যে একসপ্তাহ যাবত পুকুর খননের কাজ করছে মাটি বিক্রেতারা। সেই পুকুরের মাটি গাংনী উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের মা ইট ভাটায় নেওয়ার সময় রাস্তায় মাটি পরে বৃষ্টিতে পিচ্ছল হয়ে পরেছে । এ পর্যন্ত বেশ কটা মটোর সাইকেল দুঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
পথচারি ইদ্রিস আলী জানায়, আমি সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে কুষ্টিয়াই রোগী দেখতে যাচ্ছিলাম। আকুবপুরের কাছাকাছি পৌছালে পিচ্ছিল রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে কুষ্টিয়াতে যেতে হয়েছে।
ধানখোলা গ্রামের রবিন আলী জানায়, ধানখোলা তিনটা ভাটায় বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি বহন করে নিয়ে আসছে। একবার অভিযোগ করলে কাদা পরিস্কার না করেই রাবিশ ফেলে কাদা ঢেকে দেয়া হয়েছিল। তার ওপর গতকালের বৃষ্টিতে আবারও এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি কাদায় চলাচলের জন্য বিপদের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইটভাটা মালিক শান্ত জানায় আমরা মাটি বহনের সাথে সাথে রাস্তা পরিস্কার করে রাখি। কিন্তু কোন কোন ইট ভাটা মালিকেরা গুরুত্ব দেয়না। তাদের জন্য পথচারিদের এই অসুবিধা হচ্ছে।
ইটভাটা মালিক সমিতির নেতা মনিরুজ্জামান আতু বলেন, আমরা বিষয়টি দেখেছি এবং প্রতিটি ইটভাটা মালিককে তাদের স্ব-স্ব এলাকার রাস্তা পরিস্কারের নির্দেশ দিয়েছি। যারা করবে না তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন।
মেহেরপুর ট্রফিক বিভাগ বলেন, ভাটা মালিক সমিতির নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে রাস্তা পরিস্কার করার জন্য। যদি না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড.মুনসুর আলম খান বলেন, এ ধরনের খবর পেলেই মোবাইল কোট পাঠিয়ে নিয়ন্তন করা হচ্ছে।আমরা জনদুর্ভোগর নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছি।
পূর্ববর্তী খবর