প্রথম রাজধানী:
মেহেরপুর সদরের ঝাউবাড়িয়া মাঠে বিরোধপুর্ণ জমির ধানক্ষেতে আগাছা নাশক প্রয়োগ করে সমস্ত ক্ষেত বিনষ্ট করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে কৃষক শহিদুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধানক্ষেত সম্পুর্ণ পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন মেহেরপুর শহরের হাফিজুর ও তার লোকজন। জমির ওয়ারিশ সুত্রে দাবিদার গোলাম মোস্তফা জানান, জমির প্রকৃত মালিক আহম্মদ আলী। তিনি মারা যাবার পর তার স্ত্রী সুর্য বিবি ও ছোট ছেলে ইউনুস আলী সমস্ত জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন। তার একটি অংশ ক্রয় করেন মেহেরপুরের হাফিজুর রহমান। কিন্তু ওই সকল জমির আরো ওয়ারিশ থেকে যায়। সে সকল ওয়ারিশদের একজন গোলাম মোস্তফা । তিনি ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের কাছে ১০ কাঠা বিক্রি করলে তিনি সম্প্রতি ওই জমিতে ধান রোপন করেন। এদিকে ক্রয় সুত্রে দাবিদার হাফিজুর ওই জমিতে রোপনকৃত ধানক্ষেত আগাছা নাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট করে। হাফিজুল ইসলাম ও তার লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আগাছানাশক প্রয়োগ করলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অন্ততঃ ১০ হাজার টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষেতমালিক। কুতুবপুর ইউপি মেম্বর আরিফুল ইসলাম জানান, ক্রয়সুত্রে ওই জমি হাফিজুর রহমান ২০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি জমির কাগজপত্র যাচাই করে আহম্মদ আলীর ওয়ারিশগণ সম্পত্তির মোটা অংশ পাবেন বলে দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও কেউ সালিশে উপস্থিত হননি। ফলে আপোশ মিমাংসার বিষয়টি স্থগিত রয়ে যায়। ইতোমধ্যে ধানক্ষেত বিনষ্ট করার ঘটনাটি ঘটে। এদিকে জমির কথিত মালিক হাফিজুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারিশ সুত্রে দাবিদার গোলাম মোস্তফা।