মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি কনসালটেন্ট ডা. সোনিয়া আহমেদের নির্দেশিত ক্লিনিকে সিজার না করাই রোগীর প্রতি অবহেলা অভিযোগ উঠায় মেহেরপুর আমলী আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন।
মেহেরপুর আমলী আদালতের প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ’র স্বপ্রণোদিত ভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে এই মামলাটি করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিশেষ নির্দেশের প্রেক্ষিতে নথি উপস্থাপন করা হলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের মো: হালিম তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী মোছা: খালেদাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া আহমেদের কাছে চিকিৎসা নেন। ডা. সোনিয়া আহমেদ তার স্ত্রীকে দেখার পর তার তত্ত্বাবধানে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করার পরামর্শ দেন। অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় ডাক্তারের নির্দেশিত ক্লিনিকে না গিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালেই সিজার করার জন্য ভর্তি হন। এর পর চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রসূতি মোছা: খালেদাকে হাসপাতালের নিয়ম মেনে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া আহমেদকে দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার আগেই ডা. সোনিয়া আহমেদ রুগীর স্বজনদেও দেখেনেওয়ার হুমকি দেন। সিজারের কিছুদিন পর থেকেই মোছা: খালেদা অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে পুনরায় ডা. সোনিয়া আহমেদের কাছে
গেলে সিজারের স্থানে ইনফেকশন হয়েছে বলে ১৪ মার্চ তিনি আবারও হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে অপারেশন করেন।দ্বিতীয়বার অপারেশন করার পর সেলাই না করে ১২ দিন হাসপাতালে ফেলে রাখেন ডাক্তার সোনিয়া। রোগীকে দেখার জন্য তার স্বজনরা বারবার অনুরোধ করলেও দেখতে দেননি। রোগীকে সেলাই না দিয়েই ফেলে রাখে তাকে। আমরা রোগীকে আল্ট্রাসনো করতে চাইলেও সে তা করতে দেইনি আমাদের। রোগীকে ছাড়পত্রও দেননি তিনি। অপারেশনের ১২দিন পর সেলাই করেন ডাক্তার সোনিয়া। এ বিষয়ে রুগীর স্বামী মো: হালিম গাইনী ও প্রসূতি (কনসালটেন্ট) ডা. সোনিয়া আহমেদের বিরুদ্ধে তত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু হাসপাতাল এঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
পূর্ববর্তী খবর