মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে জেলাপরিষদের কোটি টাকা দামের সম্পদ জবর দখল করে নিয়েছেন মেহেরপুরে পৌর যুবলীগেরর ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলার ইনতাজ আলী। সেখানে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পৌর মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের ছাবি টাঙ্গিয়ে টেবিল চেয়ার নিয়ে নিজের অফিস খুলে বসেছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মেহেরপুর থানা পুলিশসহ জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল যেয়েও কাজ বন্ধ করতে পারেনি।
সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায় টিনের ব্যাড়া ও ছাওনি দিয়ে দিয়ে ঘর তুলছেন। চলছে বালি দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ। টেবিলের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে বসে আছেন। পাহাড়ায় রয়েছেন কয়েকজন যুবক।
ইনতাজ আলী বলেন এ জায়গাটা তিনি জেলা পরিষদ ও পৌরসভার কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। তিনি এখানে যাইচ্ছা তাই করতে পারেন। শুধু এই জায়গা নয় মেহেরপুর পৌরসভা ও জেলা পরিষদের যেকোন জায়গা তিনি যাকে তাকে পাইয়ে দিতে পারেন। এই দুই পতিষ্ঠানের জায়গা বরাদ্দের আগে পৌরসভা ও জেলাপরিষদ তার সাথেই অনুমতি নেয়। তবে তিনি জায়গা নেবার কোন বৈধ কাগজ দেখাতে আপরগতা প্রকাশ করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসাপাতাল বাজারের সাধারণ স¤পাদক রাহিনুরজ্জামান পোলেন বলেন, ইতি পূর্বেও তিনি ক্লাব করার নামে হাসপাতালের সামনের একটি জায়গা দখল করেছেন। সেই জায়গাটিতে তিনি বিশাল ঔষধের দোকান নিজের চেম্বার তৈরী করেছেন। এ জমির দাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা। আবার কয়েক দিন নতুন করে এই জায়গাটিতে দখল করার জন্য প্রথমে কয়েক জন ছেলেকে নিয়ে পিকনিক করে। এর পর ৩ নভেম্বও জেল হত্যা দিবষের ব্যানার টাঙ্গিয়ে নব নির্বাচিত জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন নেতার নামে ব্যানার টাঙ্গায়। নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোক পাঠিয়ে সেই ব্যানার খুলে ফেলে দেন। এখন জাতীর জনক, প্রধান মন্ত্রী, পৌরমেয়রের ছবি টাঙ্গীয়ে জায়গা দখল করছে। একের পর এক অবৈধ জায়গা দখল বন্ধর দাবি জানাই আমরা।
জেলা যুবলীরেগর আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, এর আগেও তিনি জায়গা দখল করে বিশাল দোকান করেছেন, জায়গা নিয়ে জেলা পরিষদের সাথে মামলা থাকায় আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এখন ওটা ভেঙ্গে দিতে হবে।
মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, খবর পেয়ে আমরা পুলিশ ও আমাদের লোকজন পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এধরনের অবৈধ স্থাপনা ওনাকে কাজ না করতে ও সরিয়ে নিতে বলেছি। তারপরও উনি কাজ চালিয়ে গেলে উনার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।