মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর মৎস বীজ উৎপাদন খামার জেলাবাসীর কোন কাজে লাগছেনা। পুকুর,লোকবল, পোনা উৎপাদনের সকল সারঞ্জম থাকলেও অজ্ঞত কারনে মাছের রেনু ও পোনা পরিবর্তে ঘাস চাষ হয়।
রেনু ও পোনা উৎপাদনের জন্য সরকারী লক্ষমাত্রা টাকা এখন ঘাস চাষ করে পুরনের কথাও স্বিকার করেছে করা এই খামারের দয়িত্বরত কর্মকর্তা।
মেহেরপুর শহরের উপকন্ঠে জেলা মৎস্য অফিস সংলগ্ন ১০ একর জমির উপর ৮টি পুকুর নিয়ে গড়ে ওঠা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটিতে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে পোনা উৎপাদন। পানিতে অতিরিক্ত আইরন থাকায় কারন দেখিয়ে খামারটিতে রেনু ও পোনা উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। রেনু ও পোনা উৎপাদনের জন্য প্রতিবছর বরার্দ্দা ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আর ্এখান থেকে আয়ের লক্ষ মাত্রা ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা । সরকারি এ লক্ষমাত্রার বরাদ্দর অতিরিক্ত ৬৯ হাজার টাকা পুরনের জন্য খামারে ঘাষ চাষ , গাছ বিক্রি, খামরের ঘর পাশর্^বর্তী এলাকা বাসিকে গুরু ছাগল রাখার জন্য ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খামার ব্যবস্থাপক ইকবাল শরীফ বিরুদ্ধে । দীর্ঘ দিন অযন্ত আর অবহেলায় পড়ে থাকা খামারের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন উপকরণ ও মেসিনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে । পুকুরের পাড়গুলোও ভেঙে গেছে,।
স্থানীয় বসিন্দা বাবুল বলেন খামারটি আগে উন্মুক্ত থাকতো, আশেপাশের বয়বৃদ্ধি নারিরা সকাল বিকাল হাটা চলাসহ শাররিক কসরত করতেন। । এখন খামারটি ২৪ ঘন্টা তালাবন্ধ থাকে ভিতরে ঢুকতে হলে অফিসে ফোন করলে অফিসের লোক এসে গেট খোলে। একটি সরকারি অফিস ২৪ ঘন্টা তালাবন্ধ নিয়ে আমাদেও মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খামার অপরেটর সাফিরুল ইসলাম বলেন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনগুলি
আমি নিজ দায়িত্বে একটি ঘর মেরামত করে থাকতাম। আমাকে ঘর থেকে নামিয়ে দিয়ে গরু রাখার জন্য সে ঘরটি বহিরাগত একজনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
খামার ব্যবস্থাপক ইকবাল শরীফ বলেন, সরকারের একটি লক্ষমাত্রা থাকে কিন্তু এখানে রেনু পোনা উৎপাদন করা সম্ভব হয়না । তাই জমি লীজ ও ঘাষ চাষ করে লক্ষমাত্রা পুরন করা হয়। আমার এখানে লোকবল কম গরু ছাগল ঢুকে ঘাষ ও গাছ খেয়ে ফেলার কারনে খামার ২৪ ঘন্টা তালাবন্ধ রাখা হয়। এখানে স্থানীয় ভাবে একজন নাইটগার্ড থাকে তার কোন বেতন নাই। তাই খামার অপরেটর সাকিরুল ইসলামের ঘরটিতে এ নাইট ঘাডকে ঘরু পোষার জন্য দেওয়া হয়েছে ।