মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ(২৩.০৯.২৩)
মেহেরপুর শহরের রমেশ ক্লিনিকে ভুল এনেসথেসিয়া রুগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত স্বর্ণালী খাতুন মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়ার সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী ও রমেশ ক্লিনিকের সিনিয়র স্টাফ নার্স।
রুগীর পরিবারের অভিযোগে এনেসথেসিয়া সময় মাত্রা অতিরিক্ত ঔষধ প্রয়োগের কারণে নিহত স্বার্ণালী খাতুনের আর জ্ঞান ফেরেনি। বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রুগীর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
নিহতর পরিবারের অভিযোগ মেহেরপুর শহরের রমেশ ক্লিনিকের সিনিয়র স্টাফ নাস স্বর্ণালী খাতুন ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন কালে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে পেটে ব্যাথা উঠে। এসময় ঢাকা থেকে আগত ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদ হাসান বিপু তার পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানান অ্যপেনটিসাইটের ব্যাথা উঠেছে এবং এটা কিটিক্যাল অবস্থায় আছে। এখুনি অপারেশন করতে হবে। ঐ সন্ধ্যায় স্বণালীর পরিবারকে কিছু না জানিয়েই তাকে অপারেশনের ওটিতে নেওয়া হয়। অপারেশনের আগে এনেসথেসিয়া চিকিৎসককে না ডেকে হাসপাতালের ম্যানেজার শহিদুল এনেসথেসিয়ার চিকিৎসকের সাথে ফোনে পরামর্শ নিয়ে এনসেথিয়া প্রয়োগ করে। এর পর অপারশন শেষে তার জ্ঞান না ফিরলে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আই সিউউ বিভাগের রাখা হয়। তবে ক্লিনিক ম্যনেজার শহিদুলের দাবি এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক মেহেদি হাসান নিজে এনেসথেসিয়া দিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ডা. মেহেদি হাসান আত্মগোপনে রয়েছে। তার ব্যবাহারিত মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
আজ শনিবার ভোরে এম্বুলেন্সে তাকে সিরাজগঞ্জ আনোয়ারা হাটফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে আনার অনেক আগেই রুগীর মৃত্যু হয়েছে। সকাল থেকে ক্লিনিক ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসি ক্লিনিক ঘেরাও করলে পরিবেশ শান্ত রাখতে মেহেরপুর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের দুটি ইউনিট মোতায়ন করা হয়েছে।
এলাকা বাসীর জানান ইতিপূর্বেও রমেশ ক্লিনিকে তিন জন রুগীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ জানিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধের দাবি জানায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মেহেরপুর কামরুল আহসান জানান
পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দেবার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন মেহেরপুর ডা. জওয়াহেরুল আনাস সিদ্দিকী জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত বোর্ড গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্ববর্তী খবর