প্রথম রাজধানী :
অস্থিরতা চলছে যুক্তরাজ্য সরকারে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে মঙ্গলবার থেকে টানা তিনদিন পদত্যাগের হিড়িক চলে মন্ত্রিসভা ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে। অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার। তবে দলটি তাদের নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি।
কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয় কনজারভেটিভ প্রধান, যিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন?
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয় দল থেকে নির্বাচিত এমপিদের ভোটে। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়া শুরু হল- প্রাথমিকভাবে প্রধান নেতা হিসেবে আগ্রহী প্রার্থী মনোনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজন দলের অন্তত আট জন এমপির সমর্থন।
যদি তার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকেন তাহলে তিনি সরাসরি দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
কিন্তু যদি প্রার্থী দুইজনের বেশি হয়, সেক্ষেত্রে মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুই জনে না আসা পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন।
এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি হল- প্রথম পর্বের ভোটে ১৮ জনের কম এমপির ভোট পাওয়া প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়বেন।
দ্বিতীয় পর্বে যে প্রার্থী ৩৬ এর কম ভোট পাবেন তিনি ছিটকে যাবেন। এরপরও প্রার্থী তিন বা ততোধিক হলে এদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া জন বাদ পড়বেন।
তারপর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা দুইজনে না দাঁড়ানো পর্যন্ত এমপিদের ভোট দেওয়া চলতে থাকবে আর সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়তে থাকবেন।
চূড়ান্ত যে দুই প্রার্থী টিকে যাবেন তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে শেষ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। পোস্টাল ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই দলটির পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবেন।
নেতা নির্বাচন শেষে ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। রানীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নির্বাচিত নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন