প্রথম রাজধানী:
ইউপি ভোটের খরচ যোগাবার জন্য মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে রাজু আহম্মেদ নামে এক আসহয়ের কাছ থেকে চাকরি দেবার কথাবলে আওয়ামী লীগ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে চেয়ার ম্যান প্রার্থী নয়ন হাবিবের বিরুদ্ধে । গত একবছর ধরে চাকিরি নাপেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় ভুক্তভুগি রাজু ও তার মা আনোয়ারা বেগমকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়েছে নয়ন হাবিব। চেয়ারম্যান প্রার্থী নয়ন হাবিব মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যাপুর গ্রামের বেকারী ব্যবসায়ী ও মোঃ বক্কার বিশ^াসের ছেলে । ভুক্তভোগি রাজু আহম্মেদ সদরউপজেলার শিশরপাড়ার রাজিদুল ইসলামের ছেলে। নয়ন হাবিব টাকা নেবার কথা স্বিকার করে বলেন টাকা আওয়ামী লীগের এক বড় নেতার কাছে আছে তিনি দিলে দিয়ে দেবো। তবে তিনি এও বলেন ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের সময় টাকার দরাকার ছিলো তাই এভাবে টাকাটা নিয়েছি।
ভুক্তভোগি রাজু আহম্মেদ জানান, আমার নানার বাড়ি শ্যামপুর । নয়ন হাবিবের সাথে আমার নানার বাড়ির পারিবারিক সুসম্পর্ক রয়েছে। বিএ পাশ করে চাকুরি খঁজছি। নয়ন হাবিব আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বলেন কলমিজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছয় লক্ষ টাকার দিরেল অফিস সহকারি পদে চাকরি হবে। এ জন্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কাছের লোক আমিনুল ইসলাম খোকনকে তিন লক্ষ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। আমি তার কথা মতো তিনলক্ষ টাকা অগ্রিম দিই। কিন্তু গত এক বছর ধরে চাকরি না দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে । আমার পরিবারের টাকার জন্য চাপাচাপি করলে গত সেপ্টম্বর মাসে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে কর্যনামা লিখে দেয় । গত ২৯ ডিসেম্বর টাকা পরিশোধের শেষ তারিখে টাকা দেবার নাম করে বাড়িতে ডেকে নেয় বিশ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে স্ট্যাম্প কেড়ে নেয়। আমাকে ও আমার মাকে মৃত্যুও হুমকী দেয়। এরপর আমি ও আমার মা গ্রামের মোরুব্বি ও নয়ন হাবিবের দুলাভাই মেহেরপুর সদর থানা যুবলীগের সভাপতি আনায়ার হোসেন আনুর মধ্যস্থতায় আগামী আড়ায় মাসের মধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ ও কার্যনামার দলিল লিখে দেবার প্রতুশ্রুতি দেন । তার পর থেকে আনু ও নয়ন হাবিব কোন কিছু লিখে না দিয়ে নানা ভাবে হুমকী ধামকি দিচ্ছে।
রাজুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন নয়নের সাথে আমাদের ছোট থেকে সম্পর্ক। সে দল পাটি করে । মন্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো । মন্ত্রীর কাছের মানুষ আমিনুল ইসলাম খোকনের নাম করে টাকা নিয়েছে । অনেক চাকরি এভাবে হয় । আমার ছেলের চাকরি হবে এ সরল বিশ^াসে টাকা দিয়েছি ।
আমিনুল ইসলাম খোকনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
করমজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন বলেন, কলমিজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোন নিয়োগের বিজ্ঞাপনই প্রকাশ হয়নি। নয়ন হাবিবকে চিনলেও তারসাথে কোন সম্পর্ক নেই। ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে বা আইনের আশ্রয় নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়ন হাবিব বলেন, টাকাটা নিয়ে আওয়ামী লীগের এক বড় নেতাকে দিয়েছি। টাকাটা উদ্ধার করতে পারছিনা। রাজুকে একটা স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছিলো। সেটা আমি কৌশলে নিয়ে নষ্ট করে ফেলেছি। প্রয়োজনে আবার সট্যাম্প করে দেব। তবে সেই নেতার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন ভোটের সময় টাকার দরকার ছিলো তাই কৌশলে চাকরি নেওয়ার নামকরে টাকা নিয়েছি। হাতের অবস্থা ভালোানা, ভালো হলে টাকা ফিরোত দেবো।