মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের দিঘলকান্দি গ্রামের মেরিনা নামে ১০ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী অপহরনের বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের কাছে আসেন। পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য মেরিনাকে থানায় পাঠালে। মেহেরপুর সদর থানা থানা তা গুরুত্ব না দিয়ে আসামীকে ডেকে আপোষনামা লিখে দিলেন।
গত সোমবার মেরিনা ও তার পরিবার মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের কার্যলয়ে হাজির হয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ সুপার ঘটনা শুনে মেহেরপুর সদর থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য নির্দেশ দেন। মেহেরপুর সদর থানা থেকে এস আই আব্দুল মতিনকে ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হয়। এরপর এস আই আব্দুল মতিন বিষয়টি তদন্তে যান। কিন্তু তিনি এরপর দু পক্ষকে মেহেরপুর থানায় ডেকে আপোষনামা করান। তবে এসআই আব্দুল মতিন থানায় আপোষের সময় স্বীকার করেন আভিযুক্তরা কোন ভাবে দায় এড়াতে পারেন না। মেরিনা ও তার পরিবার বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।
ভুক্ত ভুগী স্কুল ছাত্রী মেরিনা জানান, গত ৩ মাস আগে আমি আমার (মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়) স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বর্শিবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাবুলের ছেলে সজীব সহ তার দলবল পথ আটকিয়ে আমাকে আজ্ঞান করে তুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার জ্ঞান ফিরলে একটি বাড়িতে দেখতে পায়। সেখানে সজিবসহ তার দলবল আমাকে ভয় ভিতি দেখিয়ে কাজি অফিসে নিয়ে যায়। কাজি অফিস নেবার পরে আমি চিৎকার করি। এলাকার মানুষ জন জড় হয়। তখন ঘটনা খুলে বললে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। এরপর আমার বাবাকে খবর দিয়ে ডেকে এনে তার হাতে তুলে দেন। সেই থেকে আমি সহ আমার পরিবারকে সজিবও তার লোক জন হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় আমার চাচা সুজন আলী সজিবকে ডেকে এসব করতে নিষেধ করে। এতে সজিব ও তার লোক জন ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন আলীকে ঘরের মধ্যে আটক করে ৪ ঘন্টা নির্যাতন করে। এ বিষয়ে আমি পুলিশ সুপারের সাহায্য চাইলে তিনি থানায় পাঠান। থানায় অভিযোগ দিয়ছি কিন্ত অভিযুক্তদের ডেকে অপোষ করে দিয়েছে। আমরা গরিব ও দুর্বল তাই আমাদের এটা মেনে নিতে হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহা দারা খান বলেন, মেরিনা ও সজিবের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তিতে তারা বিয়ে করতে যায়। বয়স না হবার কারনে কাজি অফিস থেকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে ওদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। একে অপরকে হুমকী ধামকি দেয়। এতে মেয়ে মেহেরপুর থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করে। পরে গতকাল সোমবার গ্রামের লোকজন এসে আপোষ মিমাংসা করে নিয়ে যায়।
পূর্ববর্তী খবর