গাংনী প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে রাজাকার ও অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সম্মেললন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আসিন হয়ে সংসদ সদস্য হয়ে জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করছে এবং আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরােধী শক্তিকে বিভিন্ন ভাবে পকেট কমিটি করে আওয়ামীলীগে পুনর্বাসন করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
রাজাকার ও অনুপ্রবেশকারী হাইব্রীড মুক্ত আওয়ামীলীগ গঠণ বাস্তবায়ন পরিষদ গাংনীর আহবায়ক মুক্তি যোদ্ধার সাবেক পৌর কমান্ডার আ: লতিব ও সদস্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালে দীর্থ ০৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের ও দুই লক্ষ পয়ষয়ি হাজার মা বােনের সম্রমের বিনিময়ে বাপ্তাণী জাতি হাজার বছরের ইতিহাসে সর্ব শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রার্থীর জনক বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় এ দেশের স্বাধীনতা বিরােধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট এর পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী এই পাকিস্থানের প্রেহার বাংলাদেশকে পাকিস্থানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাড়িয়ে পাকিস্থানী হনাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে বাঙালী জাতি নিধনে,অগ্নি সংযােগে,সুষ্ঠনে,ধর্ষণে পাকিস্থানী বাহিনীকে নানা ভাবে সহায়তা করে এবং নিজেরাও অংশগ্রহণ করে তার স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ সময় পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপােষকতায় নিজেদের চেহার বদলে ফেলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দলে নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে। যে চেতনা নিয়ে আমরা নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম সেই চেতনী অজি স্বাধীনতা বিরােধী শক্তির কারণে ভুলণ্ঠিত। যখন দেখি ৭১ এর পরাজিত শক্তি রাজাকার,অলিবদর, আলশামস, শাস্তি কমাটর কুলাঙ্গার পরিবারের সন্তানদের গাড়িতে শহীদের রক্তভেজা পতাকা যখন দেখি রাজাকার পরিবারের সন্তানরা এ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা আমাদেরকে নতুন করে দেয় তখন আমাদের মনে হয় ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মা অৰ্তিনাদ করে ওঠে। সমহারা মা বােনের আহ্বা কষ্ট পায়। তেমনি ভাবে যখন দেখি কুক্ষ্যাত গনি রাজাকারের পুত্র সাহিদুজ্জামান খােকন। গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আসিন হয়ে সংসদ সদস্য হয়ে জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করছে এবং আওয়ামীলীগের স্বাধীনতা বিরােধী শক্তিকে বিভিন্ন ভাবে পকেট কমিটি করে আওয়ামীলীগে পুনর্বাসন করছে । তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চায় ১৯৭১ সালের জুলায়ের প্রথম দিকে কুষ্টিয়া মেহেরপুর সংযোগ সড়কের তেরাইল অস্থালী সংযোগ সেতুটি মুক্তিযােদ্ধারা ভেঙ্গে দিলে তেরাইল গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার গনি রাজাকার ও তার ভাই ফনি রাজাকারের প্রত্যক্ষ্য নেতৃত্বে রাস্তার দুই পাশের বাড়ী ঘরে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করা হয়। যার প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শাহ ও তার স্ত্রী দুজন পাকিস্থানী হানাদার সেনাকে অসিম সাহসিকতার সাথে জৰায় করে। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী গনি রাজাকারের নেতৃত্বে তান্ডব লিলা চালায় এবং ওমর আলী শাহ পরিবারের সাতজন সদস্য কে গনি রাজাকার পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাতে উঠিয়ে দেয় এবং অমানবিক নির্যাতন। করে। অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে ঘটনা স্থলে কেয়ামত আলী ও তার মা মোমেনা খাতুন মৃত্যু বরণ করেন। ” একই সাথে কলিমদ্দিনের ছেলে হােসেন আলী মালিথা,মৃতঃ ইবাদত মন্ডলের ছেলে সৈয়দ আলী মন্ডল,মৃতঃ বিত বাগের ছেলে রইচ উদ্দীন বাগ,বজলুর রহমান ও তার শাশুড়ী নূরজাহান বেগম,পাঞ্জাব আলীর ছেলে সামসুদ্দীন সহ আরাে অনেককে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের বাদিয়াপাড়া গ্রামের গােলাম মুহাম্মদ এর পূত্র বীর মুক্তিযােদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গেলে তার বাড়ীতে গনি রাজাকার অগ্নিসংযােগ ও লুটপাট করে। ষােলটাকাগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাহযরত আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় তার পিতা রুপচাদ মন্ডলকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে এগার দিন ধরে টর্চার সেলে অমানষিক নির্যাতন করে এই সাহিদুজ্জামান খােকনের পিতা গনি রজাকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা,স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেহী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের সাহেব জাতিকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে চেতনা জাগ্রত করার জন্য বলহে স্বাধীনতা বিরােধী শক্তি,অনুপ্রবেশকারী হাইলীভদের চিহ্নিত করে আওয়ামীলীগ থেকে বিতাড়ীত করে প্রকৃত ত্যাগী পরিক্ষীত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পরিবারে সন্তানদের আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য সহযােগী অঙ্গসংগঠনে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগঠন গড়ে তুলে স্বাধীনতার প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই আলেকে গাংনী উপজেলা সহ সারা পৃথিবীর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন কারী বাঙ্গালীকে আমাদের পাশে দাড়ানাের জন্য আহব্বান জানাচ্ছি।
পূর্ববর্তী খবর