প্রথম রাজধানী:
মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা পরিষদের সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা ‘ফুলকুঁড়ি কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড জুনিয়র হাইস্কুল’ গড়ে তুলেছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী আফিসার স্কুলটিকে সরকারি বলে দাবি করলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন স্কুলটি বেসরকারি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদাধিকার বলে স্কুলটি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি । সরকারি না হয়েও বেসরকারি এই স্কুল সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। উপজেলা প্রশাসন সেই সুবিধা দিচ্ছে। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে গাংনী উপজেলা পরিষদ বাউন্ডারির মধ্যে ‘ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড জুনিয়র হাইস্কুল’ স্থাপন করেন ‘গাংনী পাইলট মাধ্যমিক স্কুল’র অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম (৭০)। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে তিনি (বেসরকারি) জেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর সংগঠনেরও সভাপতি। আবার তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগেরও সহ সভাপতি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি জমিতে যখন স্কুল তখন সেটি অবশ্যই সরকারি স্কুল। বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি সরকারি জমিতে থাকে? বলে তিনি উলটো প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন পদাধিকারবলে তিনি স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং স্কুলটিকে উপজেরা প্রশাসন থেকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি সঠিকভাবে না জেনে কোনো কিছু জানতে বারণও করেন। তবে ৭০ ঊর্ধ্ব বয়সের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কীভাবে একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক-এ প্রশ্নের কোনো জবাব মেলেনি এই অফিসারের কাছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, তাদের স্কুলটি বেসরকারি। সরকারি কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলটির শিক্ষার্থী হওয়ায় সরকারি কিছু সুবিধা মেলে।
গাংনী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আলাউদ্দীন জানান, গাংনীতে ১৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই তালিকায় স্কুলটির নামগন্ধও নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে স্কুলটি। শিক্ষা বিভাগ থেকে শুধু বই সরবরাহ করা হয়।
পূর্ববর্তী খবর