মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে ছেলের হাঁসুয়ার কোপে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ), সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মাইলমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রান্নায় দেরি হওয়ায় মাইলমারী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নবিছদ্দীনের ছেলে সোহাগের সাথে তার মায়ের ঝগড়া হয়। এসময় ইউপি সদস্য তিনার ছেলেকে মায়ের সাথে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে তিনার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় ছেলে সোহাগ। এক পর্যায়ে সোহাগ হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দিলে ইউপি সদস্য রক্তাক্ত জখম হন।
অপর একটি সূত্র জানায়, ২য় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য নবিছদ্দীন পরাজিত হলে ভোটে কারচুপির অভিযোগে আবারও ভোট গণনার দাবিতে মামলা দায়ের করেন নবিছদ্দীন। এনিয়ে মাঝে মধ্যে মেহেরপুর কোর্টে যাওয়ায় অযথা অর্থ ব্যয় নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সোহাগ হাঁসুয়া দিয়ে তার বাবা নবিছদ্দীন কে হাঁসুয়া দিয়ে দাবনার উপর কোপ দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে গাংনী উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন।
এবিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য কাবের আলীকে ফোন করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে রাগ ও ক্ষোভে সাবেক মেম্বার নবিছদ্দীন ও মফিজুর রহমান পূণরায় ভোট গণনার দাবিতে মামলা করেছেন। এতে করে তিনি হয়রানির মধ্যে পড়েছেন, মাঝে মধ্যেই কাজকর্ম রেখে কোর্টে গিয়ে হাজিরাসহ অর্থদন্ড যাচ্ছে বলে জানান। ভোট গণনায় কারচুপির মিথ্যা অভিযোগে তিনাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য নবিছদ্দীনের ছেলে সোহাগ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। বিয়ে দেবে বলে তার বাবা বারবার তালবাহানা/অযুহাত দেখানোতে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় ছেলে ও বাবা। এসময় প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম বাঁধা প্রদান করতে আসে। কিন্তু বাঁধা প্রদানে সফল হতে পারেননি, ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য নবিছদ্দীনের কাঁধে কোপ দিতে গিয়ে কোমরের নিচে পায়ের (দাবনায়) কোপ লাগে। এতে তিনি গুরুতর ভাবে জখম হন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাঁসুয়ার কোপে জখম হওয়ায় ৬ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।