মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তসলিমা খাতুন (২৭) ও তার ১৪ মাস মেয়ে মাহিয়ার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত নয়টার দিকে নিজ বাড়িতে পাখিভ্যানের ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রথমিক ভাবে ধারনা করছে স্থানীয়রা। তসলিমা খাতুন হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পুরাতন পাড়ার মিন্টু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার হাফিজুদ্দিন ঈদগারকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদ হালদারে মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে পাখি ভ্যানের ব্যাটারিতে চার্জ এর সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তসলিমা ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তসলিমার ও তার মেয়ের শরীরে ক্ষতস্থান দেখে মনে হচ্ছে মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন তসলিমা। তারা আরো জানান, শরীয়তপুরে কাজের সুবাদে গিয়ে পরিচয় হয় তসলিমা খাতুন সাথে। প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে তসলিমাকে বিয়ে করেন মিন্টু মিয়া। গত ১৫ দিন আগে মিন্টু মিয়া গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের মাঠ পাড়ার আব্দুল মান্নানের মেয়ে ময়নাকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তসলিমা খাতুন এর সাথে বিবাদ চলছিল। তসলিমা ও তার মেয়ের মরদেহ দেখতে আসেননি মিন্টু মিয়া। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান তারা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।