প্রথম রাজধানী :
গাংনী সাহার বাটি ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সাবান আলীর ভাইস্তে আক্তার হোসেন ও তার সহযোগি লিখন একই ইউনিয়নের নারী সদস্য আসমা খাতুনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম
করেছে। ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী স্বাস্থ্য কপ্লেক্ষে ভর্তি করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আসমা খাতুনের নাকে মুখসহ শরিরের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সাহার বাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজকে ঈদুল আজাহা উপলক্ষে ভিজিডির চাল দেয়া হচ্ছিলো। আকতারুল ও লিখন বেশ কয়েকটি কার্ড সংগ্রহ করে চাল নিতে আসে। মহিলা মেম্বর আসমা খাতুন বিষয়টির প্রতিবাদ করে। এর পর আসমা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদের গেটের বাইরে বের হলে আক্তার হোসেন ও লিখন তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
সাহারবাটি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ভোমরদহ গ্রামের সদস্য ও হামলকারীর চাচা সাবান আলী মেম্বর বলেন, সে আমার ভাইস্তে হলেও আমি জানিনা কি কারণে মেম্বরের উপর হামলা করেছে সে। আমি জানি তার আইডি কার্ড নিয়ে চাল নিতে এসেছে। এর মধ্যে মেম্বরকে হামলা করেছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি খানম জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে গাংনী থানায় মামলা করা পরামর্শ দিয়েছি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।