আল আমিন. মেহেরপুর(গাংনী) :
গত এক সপ্তাহে আগে মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা পরিষদে আসহয় দুস্থদের জন্য শীত বস্ত্র এসেছে। গাংনী পৌর মেয়র ঢাকায় আবস্থান করার কারনে সে সকল শীত বস্ত্র দুস্থ অসহায়দের মধ্যে বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
মেহেরপুর জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যখন ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠিক সেই সময় গাংনী পৌরসভায়ও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতে কাঁপছে বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষ। এইসব শীতার্ত মানুষের পাশে নেই কেউ।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সরকারি শীতবস্ত্র কোথায়? প্রতি বছর বিভিন্ন সংগঠন,এম,পি,চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে এবং নিজ নিজ উদ্যেগে শীতবস্ত্র দান করলেও এ বছর প্রচন্ড শীতেও গাংনী পৌরসভায় শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি কেউ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলে, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বলে।আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বলে। জানুয়ারির মাঝামাঝি তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার আশংকা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।
এমতাবস্থায় গাংনীতে ডান্ডাজনিত কারনে শিশু সহ,বৃদ্ধরাও নিউমোনিয়া, পাতলা পায়খানা,বমি প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গাংনী পৌরসভায় অচিরেই এইসব শীত বস্ত্রহীন অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়ালে তাপমাত্রা যদি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে তাহলে ঘটবে চরম দুর্ভোগ ও প্রাণহানীর মত ঘটনা।তাই বিভিন্ন সংগঠন, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবীদের প্রতি সচেতন মহলের দাবী ভোটের সময় যেভাবে জনগনের পাশে দাঁড়ায় সেইভাবে এখনি শীত বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়ান।
গংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম জানান, গাংনী পৌরসভার শীতবস্ত্রের বরাদ্ধ এসেছে এক সপ্তাহ হলো। মেয়র সাহেব ঢাকায় থাকার কারনে দিতে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি কালকেই বিতরন করতে পারব।