মেহেরপুর প্রতিনিধি:
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে মেহেরপুরে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ছে পানিবাহিত রোগ। ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতাল গুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে দেওয়া তথ্যমতে গত কয়েকদিনের তাপদাহে জেলার ৩ উপজেলায় প্রায় তিন হাজার জন ডায়রিয়া, জ্বর,সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল গুলোতে শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ৪৫-৫০ জন,গাংনী উপজেলা কমপ্লেক্সে ২৮-৩০ জন ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ১৮-২০জন রোগি ভর্তি হচ্ছে। আর রোগীর স্বজনদের অভিযোগ সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না কোন প্রকার ঔষধ সুবিধা।
হাসপাতালে রুগী ও রুগীর স্বজনরা জানান , প্রচান্ড গরমে তারা অসুস্থ হয়ে এসে হাসপাতালে সিট না পেয়ে বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা সেবাও অপ্রতুল। হাসপতালে ঔষধ নেই, স্যালইন নেই। সবকিছু বাইরে থেকে কিনে আনা লাগছে। তারপরও চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা রয়েছে।
হাসপাতালের সেবিকারা বলেন, রুগীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেই সাথে রয়েছে প্রার্যাপ্ত ঔষধের সংকট।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জেন ডা.মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এখন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ফ্রেস খাবার গ্রহণ এবং তরল খাবার খেতে হবে। তিনি আরো বলেন জেলার তিন উপজেলািয় গত ১৫ দিনে প্রায় তিন হাজার রুগী ভর্তি হয়েছে