মেহেরপুর প্রতিনিধি : ০৫/০৯/২০২৩
জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক সহ সভাপতি দেবাশিষ বাগচি মনু।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সোডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন
মেহেরপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই ও মেহেরপুর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সাথে আমার ২০২১ সাল পর্যন্ত যৌথ ব্যবসা ছিলা। যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার কাছে আমার মুলধন ও লাভ্যাংশ সহ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। হিসাব করে পাওনা টাকা বুঝিয়া দিতে বললে সে নানা অজুহাতে আমাকে ঘোরাতে থাকে । বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি দেখায়। আমি প্রাপ্য টাকার জন্য আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি । এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে আমার সাথে হিসাব করতে রাজি হয় ।
এক পর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিক ভাবে এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেবার প্রতিসূতি দিয়ে মিমাংসা করে। পরে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আমাকে মেহেরপুর শাখা রুপালী ব্যাংকের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। যে হিসাব নম্বরটি ২০২১ সাল থেকে বন্ধ । আমি ২৪ জুলাই চেক জমা দিলে ব্যাংক চেকটি ডিজআনার করে । ৩০ আগস্ট আমি সরফরাজ হেসেনের নামে উকিল নোটিশ পাঠায়। ১লা সেপ্টম্বর পুলিশ আমার বাড়ি তল্লাশি চালায়। বর্তমানে সরফরাজ হোসেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে মানসিক ভাবে নির্যাতন সহ প্রাণ নাসের হুমকী দিচ্ছে। আমার ব্যবসা শুরু থেকে এয় পর্যšত সকল বিষয় সরফরাজ হোসেন মৃদুলের ভাই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অবগত আছেন। বর্তমানে আমার বাড়ির সামনে সব সময় পুলিশ থাকছে । আমার স্ত্রী অসুস্থ তাও আমি দেখতে য়েতে পারছিনা । কোন ভাবে আমি যদি এয় টাকা পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে আমার আত্বহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা । তায় আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার ও পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এসময় জেলার বিভিন্ন স্তরের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।