মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ার পরও আপরাশেন টেবিলে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ডাক্তার এরপর আর রুগীর জ্ঞান ফিরেনি। এমন ঘটনা ঘটেছে
মেহেরপুর দারুস সালাম ক্লিনিকে। গত রবিবার(২২ জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি সুমাইয়া খাতুন মুজিবনগর উপজেলার ঢোলমারি গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী। মৃত সুমাইয়া খাতুনের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
প্রসূতি সুমাইয়া খাতুনের স্বজনরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া খাতুন দারুস সালাম ক্লিনিকে ভর্তি হয়। রাত ১০টার দিকে ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুস সালাম অপারেশন শুরু করেন। তার সাথে অ্যানেসিসিয়া হিসেবে সহযোগীতা করেন ডা. শাহেদ। অপারেশন টেবিলের সুমাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়, সদ্য প্রসূতি কন্যা সন্তান জন্ম দেন সুমাইয়া খাতুন।
দারুস সালাম ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ও পরিচালক ডা. আব্দুস সালাম জানান, রাত দশটার সময় রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার সময় সে ভয় পায়। তাকে মানসিকভাবে ভয় ভাঙ্গানোর পর অপারেশন শুরু করা হয়। এসময় তার পেশার,স্পন্দন সব নিল(শূন্য) হয়ে যায় এবং রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাকে বাঁচানোর সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেন।
তবে অ্যানেসিসিয়া ডা. শাহেদ এর সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিভাগে অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দীক জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।তদন্ত করা হবে,কি ভাবে প্রসূতির মৃত্যু হলো।