মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সাঈদ আহমেদের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ২টার সময় মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শেখ সাঈদ আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেখ সাঈদ আহমেদের দাফনের পূর্বে গার্ড অব অনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা উচিত ছিলো। গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য পুলিশের একটি দলও সেখানে এসেছিলো। কিন্তু জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট না পাঠানোয় গার্ড অব অনার প্রদান ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। এ বিষয়ে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক বলেন, মেহেরপুরে ১১৮ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। তার মধ্যে শেখ সাঈদও আছেন। কিন্তু তিনি এখনো বাতিল হননি। যেহেতু বাতিল করা হয়নি সে হিসেবে তাঁর গার্ড অব অনার প্রাপ্য ছিলো। জেলা বা উপজেলা প্রশাসন এটা না করলে দায়ভার তাদের নিতে হবে।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার আবুল কাশেম বলেন, যাচাই বাছাই তালিকায় শেখ সাঈদ ‘গ’ তালিকায় ছিলেন। যেহেতু বাতিল করা হয়নি, সে হিসেবে তাকে গার্ড অব প্রদান করা উচিত ছিলো।
সম্প্রতি গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামে ভাতা স্থগিত তালিকার মধ্যে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলাহি বিশু মারা গিয়েছেন। তাকেও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাংনীর সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মুনতাজ আলী।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ না আসায় পুলিশ বেশ কিছুক্ষণ অপক্ষোয় থেকে পরে গার্ড অব অনার প্রদান না করে চলে এসেছে।
তবে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে একাধিক ফোন করলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সাঈদ আহমেদ (৬৫) অসুস্থ জনিত কারণে বুধবার ভোরে শহরের স্টেডিয়াম পাড়াস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, রাজনৈতিক সহচার্জ, বন্ধু বান্ধব ও অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।