প্রথম রাজধানী :
চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি শফিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মানহানী মামলা হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের মৃত হেকমত গাইনের ছেলে মোঃ বজলুর রহমান ও আফেজ উদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ সাজেদুল ইসলাম একই ধারায় ৫ লাখ টাকা করে মানহানীর পৃথক পৃথক ৩টি মামলা করেছেন।
“মেহেরপুর-মুজিবনগর বাইপাস সড়কের হেড়েগাড়ীতে মসজিদ তৈরির নামে চাঁদাবাজী” শিরোনামে গত ২৯ অক্টোবর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশের হয়। এর জের ধরে গত ৭ নভেম্বর সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে মানহানীর মামলা করে। মামলায় মোট ২ জন আসামীর মধ্যে ১নং আসামী করা হয়েছে শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলামকে। মামলার ধারা ঃ ৫০০, ৫০১, ৫০২, ৫০৬ (!!) পেনাল কোড। সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে মামলার খবরে সাংবাদিক মহল তীব্রনিন্দা জানান। সেই সাথে দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার দাবী জানিয়েছেন।
জানাা যায়, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলাম একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের মৃত হেকমত গাইনের ছেলে মোঃ বজলুর রহমান ও আফেজ উদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ সাজেদুল ইসলাম সহ প্রায় ১৫ জনেরে বিরুদ্ধে উল্লিখিত স্থানে মসজিদ না করার স্বার্থে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেহেরপুর, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত আবেদন করেন। উক্ত অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি শফিউদ্দিন সংবাদ প্রকাশ করেন।
দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গ্রামবাসীর পক্ষে শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলামের মতামত প্রকাশিত হলেও মুজিবনগর প্রতিনিধি শফিউদ্দিনের ব্যক্তিগত কোন মতামত পত্রিকাটিতে প্রকাশিত হয়নি। সাংবাদিক শফিউদ্দিন ঢাকা থেকে প্রকাশিত যায়যায় দিন পত্রিকার মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
এমতাবস্থায় সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে মামলার ঘটনায় মেহেরপুর জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছেন।