মেহেরপুর প্রতিনিধি ২৫-০৬-২০২৪
কোরবানির ঈদে চেয়ারম্যানের সেচ্ছাচারিতায় ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়নের রামনগর ও ভবানিপুর (৮ নং ওয়ার্ড) দুই গ্রামের মানুষ। এ দুই গ্রামের ১শ ১১ জন পুরুষ ও মহিলার ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। ওয়ার্ডের মেম্বার মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন চেয়ারম্যান কি কারনে এ দুই গ্রামের মানুষকে চাল দিচ্ছেনা তার কোন সদুত্তর দেননি। তবে চেয়ারম্যান বলছেন দুইগ্রামে অন্য মাধ্যমে চাল দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ তারা গত বছর ঈদের চাল পেয়েছিলো এবার অন্য সব ওয়ার্ডে চাল দেওয়া হলেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রতি বছর চাল প্রদানের তালিকা করা হলেও এবার কোন তালিকা করা হয়নি। কি কারনে তারা বঞ্চিত ও কেন তালিকা করা হয়নি তা তারা জানেনা। ওয়ার্ড মেম্বার চাল দেওয়ার আশ^াস দিলেও গ্রামবাসি চাল নিতে এসে চোখের জল ফেলে ফিরে যাচ্ছে।
হত দরিদ্র বেদানা খাতুন বলেন, আমরা দুই গ্রামের মানুষ চালের জন্য দাড়িয়ে আছি। ভবানিপুর রামনগর গ্রামের কেউ চাল পাইনি। আমি সহায় সম্বলহিন বিধবা। আমার কেউ নেই কিন্তু কোন এক অজানা কারনে গত রোজার ঈদেও চাল পাইনি বরং ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনের ধমকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়েছি।
৮ নং ( রামনগর ভবানিপুর) ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন অন্যবার চেয়ারম্যান ৬০ জনের তালিকা তৈরী করতে বলে আমরা সেভাবে তালিকা করে দিই। সকালে আমি শুনছি ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আমার এখানে কেউ চাল পাইনি বিষয়টি আমি চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার কে আভিযোগ করেছি। তিনি চেয়ার ম্যানকে ফোন দিয়ে বলেন অন্য জনার হাত দিয়ে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও আমি ভবানিপুর রামনগর গ্রামের কাউকে চাল দিতে দেখেনি। আমি চাল প্রদানের তালিকার বিষয়ে এর আগে চেয়ারম্যানকে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন লোক পাঠিয়ে দেবা চাল পেয়ে যাবে। এখন তারা এসেছে কিন্তু কেউ চাল পাচ্ছেনা।
৯ নং ওয়ার্ডের পালু মেম্বার বলেন আমাকে ৪১ টি স্লিপ দেওয়া হয়েছে আমি জনগনের মধ্যে তা দিয়ে দিয়েছি । তবে এবার কোন তালিকা তৈরি করা হয়নি।
চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অন্য মর্তাদর্শের হওয়ায় তাকে শ্লিপ দেওয়া নিষেধ আছে। তাই তার মাধ্যমে না দিয়ে অন্য জনের মাধ্যমে শ্লিপ দেওয়া হয়েছে।
চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা আনোয়ারুল ইসলাম ট্যাগ অফিসার বলেন, চাল বিতরণের দায়িত্বে আছেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা। তিনি হার্ট জনিত আসুস্থ থাকায় আমি তার পরিবর্তে এসেছি। এখানে ১ হাজার জনকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। কোন ওয়ার্ডে কত জন পাবে সেটা চেয়ারম্যান মেম্বারদের ব্যাপার। আমার দায়িত্ব মানুষ জন শ্লিপ নিয়ে এসে সঠিকভাবে চালটা পাচ্ছে কিনা। কে পাইলো না পাইলো সেটা আমার বিষয় না। তবে তিনি বলেন রামনগর ও ভবানিপুর গ্রামের চাল নিতে আসা কোন লোক দুপর পর্যন্ত তিনি পাননি।
পূর্ববর্তী খবর