মেহেরপুর প্রতিনিধি (১১.০৯.২৩)
মুজিবনগরের সহকারি কমিশনার (ভ’মি) নাজমুল সাদাত রত্ম আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্য একজন কে জমি দখল করে দিয়েছে। এসময় এক নারীসহ চার জনকে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করিয়েছে। নির্যাতন শেষে তাদের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে উপজেলা পরিষদে নিয়ে এসে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত সহ সহকারি কমিসনের বিচার চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে জমির মালিক আজিমুদ্দিন । আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি ও তার পরিবার।
লিখিত অভিযোগে আজিমদ্দিন জানান, মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাঝের পাড়ায় আজিমদ্দিন ও তার পরিবার বংশ পরমপর শত বছর ধরে ২৫ শতক জমিতে বসবাস করে আসেছে। জমিটি সঠিক সময়ে নাম খারিজ না করারর কারণে খ তপসিলে অর্ন্তভুক্ত হয়। যা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান আছে। এই সুযোগে মজিদ ও অপর ২ জন জমি দখলের চেষ্টা করে। আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রাস্তার জন্য মামলা করে । মজিদের দাবী যৌতিক না হওয়ায় আদালত মামলাটি গত ২৬ এপ্রিল খারিজ করে দেয় । কিন্তু হঠাৎ গত ৭ সেপ্টম্বর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ’মি) মো: নাজমুস সাদাত রত্ন পুলিশ সহ আজিমদ্দিনের বাড়িতে যেয়ে পুলিশ দিয়ে তার পরিবারের উপরের নির্যাতন করে। এসময় পুলিশ বয়বৃদ্ধ ফাতেমা খাতুনের গায়ে হাতদেন, বাড়ির পুরুষ সদস্যদের মার ধর করে। এর পর হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে জোড়পূবর্ক গাড়িতে তুলে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেয়ে তিন জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে স্বপ্রণেধদিত হয়ে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ১৮৯ ধারায় চার হাজার টাকা জরিমানা করে। জমি দখলের কোন নির্দেশ দেখাতে না পারলেও নাজমুস সাদাতের দাবি তিনি সকল কাজ আইন সম্মতভাবে করেছেন ।
গ্রামবাসীরা বলেন, যে এঘটনার প্রতিবাদ করতে বা দেখতে এসেছে তাদেরকেই পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে।
ভূক্তভোগি আজিমদ্দিন বলেন আমার সহ অনেকের ভোগ দখলকৃত সম্পতি খ তফশিলে চলে যায় । অনেকে আবেদন করে সেইসব সম্পতি নিজ নামে করে নিয়েছে । হিন্দুদের কাছ থেকে কেনার বৈধ কাগজপত্র দেখালে সরকার সেই সব সম্পতি ব্যাক্তি মালিকানায় দিয়ে দিচ্ছে। আমি গরিব মানুষ আমার আদালতে মামলা করতে দেরি হয়েছে। তবে হিন্দুদের কাছ থেকে কেনার বৈধ কাগজপত্র আছে। কিন্তু আদালতের রায়ের আগেই আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে ।
মুজিবনগর সহকারি কমিশনার (ভ’মি) বলেন, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি ।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিমেস বিশ^াস বলেন, এটা নিউজের বিষয় নয় , আনেক নিউজ আসে সেগুলো করেন।
জেলা প্রশাসক শামিম হাসান ব্যাস্ততার কারন দেখিয়ে এয় বিষয়ে কোন বক্তব্য না দিলেও তথ্য ই সেবা শাখা আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।