মেহেরপুর প্রতিনিধি: ২৬/০২/২৫ ইং।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর ও চরগোয়াল গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন, এ সময় দুই গ্রামের আহত হন অন্তত ১৫ জন। এ সংঘর্ষের জেরে একদল বিক্ষুব্ধ লোক একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে অগ্নিসংযোগ করে, যেখানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রামনগর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় হোসেন চরগোয়াল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামনগর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি একটি নতুন ট্রাক্টর কিনেন। তার ছেলে ছামিউল ট্রাক্টর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে গেলে অসাবধানতাবশত ঈদগাহের একটি গেট ভেঙে ফেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরগোয়াল গ্রামের লোকজন রামনগরে গিয়ে মিরার ছেলেকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় রামনগরের জান্নাত মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের মালিক জান্নাতসহ কয়েকজন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। জান্নাত ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওয়ার্কশপ থেকে হাতুড়ি এনে এলো পাথরে ঘুরাতে থাকে। হাতুড়ির আঘাত হৃদয়ের মাথায় লাগলে সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বামন্দির একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয় হোসেনের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌঁছালে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা রামনগরে গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে দোকানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হযয়।
সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের কারণ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”