`মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর সদর উপজেলায় কৃষকদের গ্রীস্মকালীণ পেঁয়াজ চাষের প্রণোদনার ১২ লাখ টাকার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার আঁচলে। পেঁয়াজ খ্যাত মেহেরপুরে গ্রীস্মকালিন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির জন্য সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১শ২০ জন কৃষককে এ প্রণোদনার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ৫ টি ইউনিয়নের আর্ধশতধিক বৃহৎ পেঁয়াজ চাষিদের কাছে ঘুরে জানা যায় এ ধরনের প্রণোদনার সম্পর্র্কে খবর কৃষকরা পাইনি।
কৃষকদের অভিযোগ একেকজন কৃষক প্রতি বিঘা পিয়াজ চাষের জন্য প্রণোদনা বাবদ ৮হাজার৭শ৭০ টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার কোন চাষিকেই এই টাকা দেওয়া হয়নি। এ টাকা দিলে মেহেরপুরে এবার পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের যে লোকসান হয়েছে তা কাটিয়ে উঠেতো পারতো তারা।
সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রামের কৃষক ওমর আলী বলেন, অমি এবার ২৫ বিঘা জমিতে গ্রীস্মকালীন পোঁযাজ চাষ করেছি।এবার পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বিঘা প্রতি ৮/৯ হাজার টাকা লোকশান হয়েছে সরকারি এ প্রণোদনা পেলে আমরা কিছুটা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারতাম।
সদর উপজেলা ইছাখালি গ্রামের চাষি গোলাম ফারুক বলেন, গ্রীস্মকালিন পেঁয়াজ চাষিদের জন্য বরাদ্ধকৃত বিনামূল্যে প্রণোদনার সার বীজ কৃষকরা পাচ্ছেনা। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিধিদের সমন্বয়ে আত্বসাৎ করছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, কৃষকদের প্রণোদনার আনতে খরচ হয়। তায় কিছু ব্যায় হয় একারণে কৃষকরা কিছু টাকা কম পেয়ে থাকতে পারে। উপকার ভোগী কৃষকের কোন তালিকা আমাদের দপ্তরে নেই। যারা প্রণোদনা পেয়েছে তাদের কাউকেই আমি চিনিনা। আর এধরনের তথ্য সরবরহ করা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষর নিষেধ আছে তাই এর বেশী বলঅ সম্ভাব নয়।
মেহেরপুর কৃষি খামার বাড়ির উপ-পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত) শামসুল ইসলাম বলেন গ্রীস্মকালনি পেঁয়াজ চাষিদের জন্য মেহেরপুর সদর উপজেলায় সরকারিভাবে কৃষকের প্রনোদনা দেয়ার জন্য নামের তালিকা করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তবে শুনেছি পেঁয়াজ চাষের প্রনোদনা সঠিক ভাবে সদও উপজেলার কৃষকরা পায়নি। তিনি আরো বলেন আমাদের দপ্তরে উপকার ভোগী কৃষকের কোন তালিকা নেই। তাই প্রণোদনার টাকা কে পেয়েছে তা বলা এই মুহুত্বে সম্ভাব নয়।
পূর্ববর্তী খবর