মেহেরপুর প্রতিনিধি:
নিলুফার ইয়াসমিন রুপার দায়ের করা মামলায় ৪ সাংবাদিক সহ ৫ জন জামিন ও একজন অনুপস্থিত থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত। চাদা দাবীর কথা উল্লেখ করলেও নিলুফার ইয়াসমিন রুপার দাবী তিনি মান হানির মামলা করেছেন।
আজ সোমবর ০৯-০১-২০২৩ তারিখে জুডিসিয়াল আদালত ২য় তে ২নং থেকে ৬ নং আসামি মোঃ আত্উর রহমান, মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ মিজানুর রহমান অপু, রানা নেওয়াজ ও মোছাঃ রেক্সনা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তারিক হাসান সবাইকে জামিন দেয় । আসামীদের পক্ষে কৌশলী ছিলেন মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। বাদী পক্ষে যুক্তি তর্ক পেশ করে বাদী নিলুফার ইয়াসমিন রুপা নিজে । যুক্তি তর্ক পেশের সময় তিনি বলেন আমি চাদাবাজি নয় মানহানির মামলা করেছি। মামলার ১ নং আসামি শ্যামবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী হাসান অসুস্থতার কারনে অনুপস্থিত থাকায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরনে জানা যায় গত ১২-০৮-২০২১ তারিখে মোবাইল ফোনে ১ নং আসামি শ্যামবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী হাসান নিলুফার ইয়াসমিন রুপার কাছে ১০লাখ টাকা চাদা দাবী করে । রুপা চাদা না দিলে গত ১৭-০৮-২০২১ সাল থেকে দৈনিক শ্যামবাজার প্রত্রিকায় “১০ বছরে কোটিপতি”, “ কে এয় রুপামনি ”, “বেরিয়ে আসছে মেহেরপুরের আলোচিত রুপামনির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড” , “ শীর্ষ সন্ত্রাসী প্যডির বান্ধবী ছিলো মেহেরপুরের রুপামনি” শিরোনামে ধারাবহিক সংবাদ প্রকাশ করে । এয় সংবাদ প্রকাশের পর গত ০৮-০৯-২০২১ তারিখে নিলুফার ইয়াসমিন রুপা বাদী হয়ে মেহেরপুর চিপ জুডিসিয়াল আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে । আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআডি কে দায়িত্বভার দেয় । সি আ ডি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করলে আদলত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের হাজির হওয়ার সমন জারি করে
আসামী মিজানুর রহমান অপু বলেন , আমি বাদী নিলুফার ইয়াসমিন রুপার সাথে শ^শরিরে অথবা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে পূর্বে কোন কথাবার্তা হয়নি । আমি মামলার পূর্বে বাদ কে চিনতামনা । আমি তাকে নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করিনি । সে কেন আমার নামে মামলা করেছে আমি জানিনা ।