মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুর বিসিক শিল্প নগরিতে করোনা প্যাকেজের লোনের আবদেনের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে য়েয়ে লাঞ্চিত হয়েছে ৩ শিল্প উদ্যোক্তা। এসময় মেহেরপুর তাঁতী লীগের সহ সভাপতি মালেকুল ইসলাম টিটোনের নেতৃত্বে একটি বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী বিসিক এলাকায় ঢুকে উদ্যোক্তা লাঞ্জিত করেন। এসময় এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনিকে লাঞ্চিত করেন তিনি।
লাঞ্চিত উদ্যোক্তারা হলেন, মেহেরপুর স্কায়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক শপেরর পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ভাই ভাই স্টিল গ্যালারির পরিচালক মোঃ ফিরোজ।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে বিসিক শিল্প নাগরিতে এ ঘটনা ঘটে।
শিল্প উদ্যোক্তা স্কায়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক শপেরর পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা কালিন সময়ের সরকারের শিল্প উদ্যোক্তাদের বিসিকের মাধ্যমে বিশেষ ঋন দেওয়া চালু রয়েছে। সেই ঋনের আবেদনের বিষয়ে আমি সহ ৪ জন উদ্যোক্তা খোঁজ নিতে গেলে আমাদের এখানকার কর্মকর্তারা প্রথমে ঘাড় ধরে বের করে দেয়। পরে আমরা এর প্রতিবাদ করলে তঁতী লীগেরর নেতা মালেকুল ইসলাম টিটোন সহ কয়েক জন আমাদের এসে হুমকী ধামকি দেন।
তাঁতী লীগের সহ সভাপতি মালেকুল ইসলাম টিটোন উচ্চ গলায় বলেন, এটা একটি সরকারী পতিষ্ঠান। আমি এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। এটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছে আমাকে। এ প্রতিষ্ঠান কে ঢুকবে না ঢুকবে আমি দেখবো। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকরা কেন। ক্যামেরা বন্ধ কর। না হলে আসুবিধা আছে। শিল্প উদ্যাক্তা আবুল কালাম আজাদকে তিনি হুমকী দিয়ে বলেন এই তোকে কে ধাক্কা মেরেছে। তোকে কে লোন দেবে ? আর তুই কিভাবে লোন নিস আমি দেখে নেবো।
এসময় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে টিটোন বলেন, আমি এ ভাবে বলেনি। আপনারাতো আমাদেরই। তাঁতী লীগ নেতা সরকারী অফিসে কেন এমন প্রশ্ন জবাবে বলেন এখানে আমার ভগ্নিপতি আসাদুল ইসলাম চাকুরি করে। সে আমাকে ফোন দিয়ে ডেকেছে। তাই আমি এসেছি বিষয়টি দেখতে।
তাঁতী লীগের সভাপতি নুর ইসলাম সুবাদ মুঠোফোনে বলেন, বিসিকে সে কেন যাবে? সে বিভিন্ন সময় তাঁতী লীগের সভাপতিরও পরিচয় দেয়। আমি অসুস্থ তাই এর প্রতিবাদ করতে পারিনা। এভাবে তাঁতী লীগের পরিচয় দিয়ে যেখানে সেখানে হুমকী ধামকি দেবে এটা ঠিক না। বিষয়টা আমরা দেখছি। তবে এটা নিয়ে নিউজ করেন না। পরে তাঁতী লীগের সহ সভাপতি মালেকুল ইসলাম টিটোন মেহেরপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতিকে ফোন করে বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে। আমি তাঁতী লীগের কেউ নয়। আমি কৃষক লীগের সদর থানার সহ সভাপতি। তাছাড়া আমি একজন শ্রমিক । আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। তাই বিসিকে গিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা ভুল বুজছে।
মেহেরপুর বিসিকের উপ ব্যবস্থাপক মো: আশানুজ্জামান বলেন, কাকে ঋন দেবো আর না দেবো সেটা আমাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা জবাব দিতে বাধ্য নয়। তাছাড়া মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক লিখন আমার আত্মীয়। তিনি আরো বলেন, আবুল কালাম আমাদের হুমকী ধামকি দিলে তাকে আমাদের কর্মচারিরা ঘাড় ধরে বের করে দেন। আর টিটোন আমাদের কর্মকর্তা আসাদুলের আত্মীয়। তার ডাকে সে এসেছে।
বিসিক শিল্প নগরির খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক তাহেরা নাসরিন বলেন, লোন দেবার কিছুু নিয়ম আছে। এই নিয়মে যারা পরবে তারা লোন পাবেন। তবে বহিরাগত সন্ত্রাসী কে ডেকে যদি কাউকে হেস্ত নেস্ত করা হয় তাহলে বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।