মেহেরপুর প্রতিনিধি: ২০-১০-২০২৩
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ শরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে আদালতে এনআই এক্টে মামলা করেছেন দেবাশীষ বাগচী মনু।
বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর দেবাশীষ বাগচী মনু মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে উকিল নোটিশের সূত্র ধরে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মোঃ তরিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে (মামলা নম্বর-৯০৭/২৩ মেহেরপুর) মৃদুলের বিপক্ষে সমন জারীর আদেশ দেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, বাদী দেবাশীষ বাগচী মনু ও আসামি শরফরাজ হোসেন মৃদুল একই এলাকার বাসিন্দা। তারা যৌথভাবে ঠিকাদারী ব্যবসা করতো । যৌথভাবে ঠিকাদারী ব্যবসা পরিসমাপ্তির সময় শরফরাজ হোসেন মৃদুলের কাছে দেবাশীষ বাগচী মনুর ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা পাওনা হয়।
২৪/০৭/২০২৩ ইং তারিখে ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র নিজ হেফাজতে নিয়ে নেয় এবং মনুর পাওনা ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে মৃদুল তার নিজ নামীয় রূপালী ব্যাংক লিঃ, মেহেরপুর কর্পোরেট শাখার একটি চেক, তার নিজ প্রতিষ্ঠান ‘শাদমান ফার্মেসী’ সীলসহ স্বাক্ষর এবং চেকের অপর পাতায় দুইটি স্বাক্ষর করিয়া মনুকে হস্তান্তর করেন এবং বলেন, ব্যাংক চেকটি জমা দিলে টাকা পেয়ে যাবেন।
মৃদুলের কথামত আমি উক্ত চেকটি নগদায়ন করার জন্য গত ২৪/০৭/২০১৩ ই তারিখে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জমা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ০১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে মনুকে জানায় উক্ত হিসাবটি গত ০৪/০৪/২০২১ ইং তারিখে মৃদুল কর্তৃক বন্ধ করা হয়েছে এবং উল্লেখিত চেকটি প্রদানের তারিখেই অর্থাৎ ২৪.০৭.২০২৩ ইং তারিখে একটি জিডি করে এবং উল্লেখিত ব্যাংকে তা অবগত করেছেন। এই মর্মে রূপালী ব্যাংক লিঃ, মেহেরপুর কর্পোরেট শাখা ০১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ডিজঅনার সার্টিফিকেট দেয়। আমি বিষয়টি মুদুলকে জানালে সে আমাকে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে।
অতঃপর আমি বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট সাহেবের মাধ্যমে গত ৩০/০৮/২০২৩ ইং তারিখে মৃদুল বরাবর ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিয়া চেকে উল্লেখিত ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা পরিশোধ করিয়া চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করি। অন্যথায় উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমি তার বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিবো উল্লেখ থাকে ।
আসামী উক্ত নোটিশ ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে গ্রহণ করিলেও নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে নাই, অর্থাৎ ৩০ দিন সময় অতিক্রম করার পরবর্তী তারিখ হইতে আসামীর বিরুদ্ধে নালিশী দরখাস্ত দাখিল করার আইনগত কারণ উদ্ভব হয়েছে। মৃদুলের কার্যকলাপে প্রমাণিত হয় যে, সে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার অপরাধ করা সত্বেও অপরাধের শাস্তি এড়াইতে আমাকে প্রাপ্য টাকা হইতে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে এখনও তৎপরআছে। ফলে আদালতে অত্র মোকদ্দমা রুজু করিতে বাধ্য হইলাম।