মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
অফিসের সকল কার্যক্রম বাদ দিয়ে ভেটেনারি এ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করে ব্যাক্তিগত কাজ করছেন মেহেরপুর জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্মকর্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৩ পর্যন্ত মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার সদর উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউদ্দনের বাসার সমানে এ্যাম্বুলেন্স গুলো দেখা যায়।
খামারি আবদুল মজিদ বলেন আমার গরু বাচ্চা হওয়ার সময় সমস্যায় পড়েছিলাম। আমি একাধিক বার পশু হাসপাতালে ফোন করলে পশু হাসপাতালের কর্মকর্তারা আমাকে গরু নিয়ে হাসপাতালে আসতে বলে। আমার গরু চিকিৎসার জন্য সেদিন ভেটেনারি এ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করা হয়নি।
মজিদের মতো অনেক খামারির অভিযোগ পশু চিকিৎসার জন্য ভেটেনারি এ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করা হয়না। খুব চাপাচাপি করলে কর্মকর্তরা মটরসাইকেল নিয়ে আসে বিনিময়ে পাচশত টাকা থেকে পাচহাজার টাকা প্রযন্ত বিল করে ।
অথচ কর্মদিবসে কার্যক্রম বন্ধ করে মেহেরপুর সদর,গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার কর্মকর্তাগন সরকারি এ্যাম্বুল্যান্স ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবাহর করছে। যার রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৭৭০৬ ও ঢাকা মেট্রো-ঠ ২৩-৭৭০৭।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউদ্দন বলেন,আমি আগামি নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে চাকুরি থেকে অবসারে যাব।তাই আমার সহকর্মী ও স্যারদের দাওয়াত দিয়েছি। তারা দাওয়াতে কোন গাড়িতে চড়ে এসেছে তা আমি বলতে পারবো না।
মেহেরপুর জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন,অফিসে মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে দাওয়াত খেতে গিয়েছি। কর্মদিবসে অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে ও সরকারি ভেটেরিনারি এ্যাম্বুলেন্স ব্যাক্তিগত কাজে কি ভাবে ব্যবহার করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।