গাংনী প্রতিনিধি:
সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন, স্বামী পক্ষাগ্রস্থ। এ দুজনকে দেখভাল করতে গিয়ে নিজেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছেন গৃহবধু নুরজাহান । তার হার্টের একটি বাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
নুরজাহান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ফকিরুল ইসলামকে আর স্বামী মোজাব উদ্দীনকে নিয়ে কোনমতে সংসারের দিনপাত চলছিল। কিন্তু ৮ বছর আগে স্বামী মোজাব উদ্দীন স্ট্রোক করে। এতে বাম হাত ও পা অকেজো হয়ে যায়। এই স্টকে লন্ডভন্ড করে দেয় নুরজাহানের সংসার । বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরেন নুরজাহান। বাড়িতে গবাদি পশু লালন পালন করা ছাড়াও মানুষের দান দক্ষিণা নিয়ে সংসার খরচের পাশাপাশি স্বামীর চিকিৎসা করাতেন। স্বপ্ন ছিল স্বামীকে তিনি সুস্থ করে তুলবেন। কিন্তু হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়েন নুরজাহান।
নুরজাহান অসুস্থ হলে তার মেয়ে ছাবিনা খাতুন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকগন তাকে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হবার জন্য নুরজাহানকে নেয়া হয় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎক একেএম মহিউদ্দীন ভুইয়ার তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। হার্টের বাল্ব নষ্ট হবার কথা বলে তিনিও অপারেশনের পরামর্শ দেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় নুরজাহান এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
নুরজাহানের মেয়ে ছাবিনা জানান, বাবা মোজাব উদ্দীন ও ভাই ফকিরুলকে দেখা শোনা করতে গিয়ে মা নুরজাহান অসুস্থ হয়ে পড়ে। মায়ের উপরই নির্ভর ছিলো গোটা সংসার। ভাইদের মধ্যে একজন অসুস্থ। তারও সাংসারিক অবস্থা ভাল নয়। বাবা মাস তিনেক আগ থেকে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইটির জন্য সরকারী সহায়তা পান মাত্র ৫০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে নিজেদেরই ওষুুধ কেনা হয় না। এমন কোন সম্পদও নেই যা বিক্রি করে মায়ের চিকিৎসা করানো যাবে। অপারেশনের জন্য অন্ততঃ ৮ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মায়ের জিবন বাঁচাতে চিকিৎসার সহায়তা চেয়েছেন মেয়ে ছাবিনা খাতুন। তার বিকাশ ও নগদ হিসাব নম্বর ০১৯৩১৫১৮৮০৮।