প্রথমরাজধানী :
বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর এবার নৌপথে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার চেষ্টা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
এএফপির বরাতে এনডিটিভি ও ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান গণদাবির মুখে নিজের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করার পর দেশ ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তাদের কেউ তার পাসপোর্টটি সিল করার জন্য ভিআইপি স্যুটে যাননি। বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে তিনি অন্য কোনো অভিবাসন ডেস্কে যাওয়ার ঝুঁকিও নেননি।
এরপর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার স্ত্রীকে ছাড়াই আরব আমিরাতের উদ্দেশে ৪টি ফ্লাইট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
এর আগে রাজাপাকসের ছোট ভাই বসিল যিনি এপ্রিলে দেশটির অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তাকেও একইভাবে দেশ ছাড়তে দেননি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, বসিল যে ফ্লাইটটির যাত্রী ছিলেন সেই ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী বসিল দ্রুত বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যান।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের অবস্থান সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগীরা একটি টহলকারী নৌযানে তাদের বিদেশ যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানবন্দরের পাশে একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাত কাটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত শনিবার তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকারি বাসভবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নৌবাহিনীর জাহাজ ব্যবহার করে রাজাপাকসে ও তার সহযোগীদের উত্তর-পূর্ব বন্দর শহর ত্রিনকোমালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গতকাল সোমবার তারা দুবাইয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, এখন বিকল্প হলো সমুদ্রপথে দেশ ছেড়ে যাওয়া। প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ বা ভারতে গেলে সেখান থেকে দুবাইয়ের ফ্লাইট পেতে পারেন। আরেকটি বিকল্প হলো শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মাত্তালা থেকে একটি ফ্লাইট ভাড়া করা। এই বিমানবন্দরটি ২০১৩ সালে খোলা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রপতির বড় ভাই মাহিন্দার নামে নামকরণ করা হয়েছিল।
এই বিমানবন্দরটির কোনো নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নেই এবং সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হয়।