মেহেরপুর প্রতিনিধি:
বোরো মৌসূমে ধান কাটা মাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া দেশের নানাবিধ উন্নয়নের ফলে কমে যাচ্ছে কৃষি শ্রমিক। এ অবস্থায় কৃষিতে যান্ত্রিকরণ ছাড়া চাষাবাদ কঠিন হয়ে পড়ছে। এই সমস্যার সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সমলয় পদ্ধতিতে ধান আবাদ। একসঙ্গে একই জাতের ধান বীজ বপণ থেকে শুরু করে কাটা মাড়াই পর্যন্ত যন্ত্রের ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমনি শ্রমিক খরচ সাম্রয়ী তেমনি সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। তাই ধান আবাদের উচ্চফলনশীল জাত নির্বাচন আর প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই আবাদ ঝুঁকিমুক্ত হবে। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনীর গোপালনগরে শস্য কর্তন ও কৃষক সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদানের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয় চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। চাষাবাদের বিষয়ে তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিতে চাষীদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের সমলয় ব্লক প্রদর্শনীর ধান কাটা মাড়াই উপলক্ষে এ কৃষক সমাবেশের আয়োজন করে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। স্বাগত বক্তব্যে সমলয় চাষের সুবিধা ও দেশের কৃষির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সামসুজ্জামান মঙ্গল, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আজাদসহ স্থানীয় কৃষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।
কৃষক সমাবেশের পর সময়লয় পদ্ধতিতে আবাদকৃত ধান যন্ত্র দিয়ে কাটামাড়াই করা হয়। অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ও কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটা মাড়াই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।