সুবাহ সুলতানা জ্যোতি :
ইন্টারনেটের অপ্রতুলতা এবং স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে ই-কমার্স সাইটগুলো বাংলাদেশের ব্যবসাঙ্গনে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্বল্প বিনিয়োগে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা যায়। গৃহিণী থেকে শুরু করে লাখো বেকার মানুষ তাদের ট্যাগলাইন থেকে বেরিয়ে এসে একজন সফল ই-কমার্স ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন। ব্যবসার সাথে বিনিয়োগ এবং কৌশলের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তার কী কী করণীয়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
মার্কেট রিসার্চ…
ব্যবসা শুরুর আগে প্রথমে আপনাকে মার্কেটের হালচাল সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা বেশির ভাগ মানুষ না জেনে…. মানুষের দেখাদেখি বিজনেস শুরু করে দেই এবং লস এর সম্মূখীন হয়।
মার্কেট রিসার্চের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে জোর দিতে হবে।
★মার্কেটে কোন পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে,
★কাস্টমারের চাহিদা,
★কাস্টমাররা কোন পণ্যগুলো ই-কমার্স সাইট থেকে কিনে থাকে,
★তারা কীভাবে এবং কোন মাধ্যমে পণ্যগুলো ডেলিভারি নিতে পছন্দ করে,
★বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন মাধ্যমে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে,
★কোন পণ্য কতদিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়ে থাকে,
★নিজের এলাকা থেকে কিভাবে পন্য ডেলিভারী করা যায়?
★ই-কমার্স সাইটে যে পণ্যগুলো বিক্রয় করা হয়ে থাকে,
সেগুলো কোথায় থেকে সোর্স করা হয়, কারন সোসিং কেউ কাউকে বলে…
সোসিং এর পিছনেও একটা বাজেট রাখতে হবে।
★ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে ইনভেনটরি ব্যবস্থাপনা কেমন হয়,
★পণ্যভেদে কারা কীভাবে ওয়ারেন্টি বা রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা প্রদান করছে,
★কোন কোন ক্ষেত্রে কাস্টমার রিফান্ড পেতে পারে,
★ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা কাস্টমারদেরকে কী এবং কীভাবে ডিসকাউন্ট বা অন্যান্য সুবিধা দিচ্ছে,
★যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসাটি পসার লাভ করে থাকে, অন্যরা সেটি কিভাবে ডিজাইন করছে,
★মার্কেটে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী কারা এবং তাদের ব্যবসার মূলনীতি,
★তারা কোন ধরণের পণ্য তাদের সাইটে বিক্রয় করছে
এই তথ্য গুলো জেনে কাজ শুরু করলে আমার মনে হয় আপনার উদ্যোগ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না😊