মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর প্রশাসন এক জন ব্যক্তি ছাড়া মেহেরপুর আওয়ামী লীগের কাউকে চেনেননা। শুক্রবার রাত্রে “ চলমান রাজনীতি, মেহেরপুর প্রেক্ষিতে: সাবেক ছাত্র নেতাদের ভাবনা” শীর্ষক মত বিনিময় সভা এ অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত্রে মেহেরপুর ফিনফুড মিলানয়তনে ‘ইউনাইটেড মেহেরপুর’ এর উদোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল মান্নান ছোট’র সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, গত ১০/১২ বছরে মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি হয় কিনা সন্দেহ আছে। চলমান কোন রাজিনীতিই নাই। ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলা সম্মেলনের সময় আমাদের দাবি ছিলো ছাত্রলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের জেলার বিভিন্ন কমিটিতে অন্তভুক্ত করার। তার পর আপনাদেরকে আমরা খুজে পায়নি। জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদন দিয়েছে শেখ হাসিনা। আনুমোদ যাদের দিয়েছে পরবর্তিতে তারা তাদের মতো করে নিয়েছে। আবারও তাই হতে যাচ্ছে। গত ৬ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। একজন ব্যক্তি তার ইচ্ছা মতো বন্ধ করে ফেললো। মুজিবনগর, গাংনী উপজেলা, শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলনও বন্ধ করে ফেললেন। পরবর্তি কমিটির কোন তারিখে হবে তা এখনো ঘোষণা হয়নি। আমরা কেউ কিছু করতে পেরেছি। একটি সংবাদিক সম্মেলন করতে পেরেছি, একটি মিছিল করতে পেরেছি? প্রতিবাদ করেছি? যারা ঢাকায় আছেন আপনারা কেউ কিছু করতে পারলেন? আমরা ভয় পেয়েছি। যদি পদ না পায়।
ডিসি, এসপি, ওসি সহ প্রশাসন একজন ব্যক্তি ছাড়া মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন এমন ব্যক্তিকে চিনেন না। ২ জন মানুষ কে ছাড়া কাউকে দেখা যায়না জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আনুষ্ঠানে। তাহলে মেহেরপুরে কি শেখ মুজিবর রহমান, শেখ হাসিনার আদর্শের কোন নেতা নেই ? সেখানে সাবেক ছাত্র লীগের নেতারা কতটুকু মূল্যায়ন পাবেন ? বক্তারা আরো বলেন আওয়ামী লীগ যদি গণতান্ত্রিক দল হয় তাহলে আমরা শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন করতে চাই আপনি কিভাবে, কেনো কোন পদ্ধতিতে নেতা বিশ্লেষন করেন? কিভাবে বাছাই করেন? বক্তারা আরো বলেন আমাদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। আমাদের মূল্যয়ন হবার জন্য আমরা কোথায় না দৌড়েছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের দুয়ারে দুযারে দৌড়েছি। জেলা কমিটির ১১ জন নেতা মরা গেছে এই ১১ জনের পরিপুরক হতে পারতো সাবেক ছাত্র নেতারা। ১৫ /২৫ বছর ছাত্র রাজনীতি করেও জেলার কোন ইউনিটে একটি পোস্ট অনেকের কপালে জুটে নাই। আমাদের শ্রমের মূল্য কই? আমদের আপমান লাঞ্চনা গঞ্জনার প্রতিরোধ প্রতিশোধ নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হবার কোন বিকল্প নেই। এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে দলীয় ফোরামে যাতে তাদের মূল্য্য়ন করা হয়। সেক্ষেত্রে দলের সবোর্চ্চ নীতি নির্ধারণি পর্যায়ে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরে তাদের প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামি মেহেরপুর জেলা কমিটিগুলোতে সাবেক ছাত্রনেতাদের দেখতে চান।
মত বিনীময় সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আসলাম শিহির’র সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এম.এ. এস ইমন, সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বাবু, নিশান সাবের, আতিক স্বপন, শেখ মোমিন. রিয়াজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হাসিবুল কবির সজিব, হুমায়ন কবির বাবু প্রমুখ।
পূর্ববর্তী খবর