মেহেরপুরের কবি ও গবেষক ড. গাজী রহমানের শুভ জন্মদিন আজ
-মুহম্মদ রবীউল আলম
মেহেরপুরের বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. গাজী রহমানের শুভ জন্মদিন আজ। তাকে জানাই শুভেচ্ছা।
আমাদের গাজী ভাই গুণী মানুষ। ড. গাজী রহমান। প্রাক্তন অধ্যাপক, কবি, লেখক ও গবেষক।মুখে তার সব সময়ে হাসি। ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরে তার বসবাস।কবিতা লিখেন চমৎকার। কবিদের কবিতা নিয়ে গবেষণা করেন। বক্তব্য রাখেন সুন্দর। সংগঠক হিসেবে তার নাম আছে।মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে।তিনি সে সময়ে এই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন।
তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার গোড়ার পাড়া গ্রামে। তবে দীর্ঘকাল ধরে তিনি মেহেরপুরে নিজের বাড়ি করে বসবাস করছেন। মা : মৃত সালেহা খাতুন । বাবা : মৃত ইছাহক বিশ্বাস। তিনি মেহেরপুর সরকারি হাইস্কুল ও মেহেরপুর কলেজে পড়াশুনা করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের কবিতা’। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. ডিগ্রী অর্জন করেন। গবেষণা গ্রন্থ : স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের কবিতায় সমাজচেতনা (২০১২) ও রবীন্দ্র থিয়েটার : থিয়েটার-সংযোগের নতুন মাত্রা (২০১৩)। কাব্যগ্রন্থ : মধ্যাহ্নে চরণ ধ্বনি (১৯৯২), বলাকা ধবল উত্তরীয় (২০১৫), ত্রিমোহনা (২০১৫), ত্রিনয়ন (২০১৯)। সম্পাদনা : সাবির মানস সন্ধান (২০০৪), প্রসঙ্গ : কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী ও চক্রবাক (২০১২), রূপসী বাংলা (২০১২), রবীন্দ্রনাথের কবিতা : প্রেম ও প্রকৃতি (২০১৫) ও জসীম উদ্দীনের রাখালী ও নক্সী-কাঁথার মাঠ : জীবনাভিজ্ঞতার শিল্পায়ন (২০১৯)।
মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। শান্তাহার সরকারি কলেজ, বগুড়া তাঁর শেষ কর্মস্থল। তিনি নজরুল একাডেমী মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবির সঙ্গীত ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি । দুই বাংলায় অতি পরিচিত মুখ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সেমিনারের অতিথি ও আলোচক। অর্জন করেছেন কৃতি শিক্ষক ও মেহেরপুর জেলার কৃতি সন্তানের স্বর্ণপদক। তিনি বাংলা একাডেমি, ঢাকা; ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস ও ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস এর আজীবন সদস্য।
তার স্ত্রীও সুন্দর কবিতা লেখেন। কবিতার বই বেরিয়েছে দু‘টি। তার এক ছেলে সামস আল দিন সুমন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের-সহকারী অধ্যাপক। সে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে।বেশ কয়েকটি গ্রন্থ লিখেছে। সে তার পিতার আদর্শকে ধরে রেখে অনেক এগিয়ে গেছে।আমার সাথে বেশ যোগাযোগ আছে।গাজী ভাইয়ের আরেক ছেলে সোহেল এনজিও কর্মকর্তা।
ড. গাজী রহমানের বয়স হয়েছে ,কিন্তু তিনি তরুণ। কাজে কর্মে এখনো তরুণদের মতো চলাফেরা করেন।জমজামাট আড্ডায় মেতে উঠেন।ভাল লাগে তাকে।ভাল লাগে তার চিন্তা ভাবনা ও চলাফেরা।ভাল থাকেন গাজী ভাই। বেঁচে থাকেন দীর্ঘকাল।আপনার মতো কর্মী মানুষের সমাজে বড় প্রয়োজন। আপনি মেহেরপুরের অহংকার।
( লেখক :সম্পাদক গ্রেটার কুষ্টিয়া নিউজ ও সাপ্তাহিক পলাশী)