মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরের ভিটাপাড়ার ইটভাটা ব্যবসায়ী রেজাউল হক খোকন হত্যা মামলায় ৬জনকে বেকসুর খালাস ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার
তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে রিপন ওরফে রবিনহুড , গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লী বিদ্যৎ সাবষ্টেশন পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে
আব্দুল কাদের, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী ওরফে পিচ্চি হোসেন।মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি
শহীদ এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং রমজান আলী কৌশলী ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার গাংনী ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে
রেজাউল হক খোকন তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরু করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতের বাড়ি ফিরতে দেরী হয় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তৎকালীনকমিশনার আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩শ’ গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গাংনী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরদিন তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় রেজাউল হক খোকনের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ১২ জনের নামে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা
নং ৪। জি আর নং ৫৯৭ /১১।
১২ আসামির মধ্যে ৪ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনীর র্যাব-৬ এর এস আই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।