গাংনী প্রতিনিধি:
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে জমি নেই, ঘর নেই।সেই সকল ভূমিহীনদের মাঝে এবার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে ৩২ জন ভুক্তভোগীর মাঝে বিনামূল্যে ঘর প্রদান করছে উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘর উপহার দেওয়ার নাম করে গাংনী উপজেলার ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৫০) এক ভুক্তভোগীর কাছে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগকারী মিনারা খাতুন(৪৫) উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন এর আড়পাড়া গ্রামের বাজার পাড়ার ঠান্ডু’র স্ত্রী।
মিনারা খাতুন জানান,আমাকে সরকারি ঘর দেবে বলে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ৩০ টাকা নিয়েছে। আমি গরিব মানুষ টাকা না থাকায় “”বুরো বাংলাদেশ”” নামে একটি এনজিওর কাছে থেকে ৪০হাজার টাকা ঋণ তুলে সিরাজুল মাস্টারের হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সিরাজুল, মনির ও তসিলদার(ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা) মিলে এই টাকা নিয়ে ঘর দেবে বলে জানিয়েছে। অথচ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়ির আশেপাশে বেশ কয়েকজনের ঘর তৈরি হচ্ছে অথচ আমার ঘর তৈরি হচ্ছে না।
ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘর তৈরীর জন্য আমি মনিরকে ২৫হাজার টাকা দিয়েছি,বাকি টাকা আমার কাছে রেখেছি। পরবর্তীতে তিনি জানান সম্পূর্ণ টাকা আমার কাছে আছে।তিনি আমার আত্মীয় হন টাকাটি উত্তোলন করে আমি তা আমার কাছে রেখেছে, তাকে ফেরত দিয়ে দেবো।ভূমিহীনদের আপনি কি ঘর দিতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,ঘর দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তাহলে টাকা কেন নিলেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি তিনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌসুমী খানম জানান, ভুক্তভোগী যদি লিখিত অভিযোগ দেয়,তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।