প্রথম রাজ ধানী:
যখন দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের জন্য নানা রকম নীতিমালা করেছেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ঠিক তখনই গাংনীর বামন্দীতে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে কমফোর্ট মেডিকেয়ার। চোখ ধাঁধাঁনো ব্যানার, ফেসটুন দিয়ে রোগীদের আকর্ষণ করলেও, করেননি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা।
সরজমিনে দেখা গেছে, সেখানে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ঔষধের ব্যবসা। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ছাড়াই করা হচ্ছে আল্ট্রাস্নোগ্রাফি, ইসিজি, হচ্ছে দাতের চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপী। সপ্তাহে একদিন বহিরাগত এমবিবিএস ডাক্তারও বসাচ্ছেন কমফোর্ট মেডিকেয়ার নামের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কোন কাগজপত্রই দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। নার্সিং বিষয়ে না পড়ে বা কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই নার্সের দায়িত্ব পালন করছে তিন জন নারী।
কমফোর্ট মেডিকেয়ারের পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সরকারের বিধি বিধান অনুযায়ী তার প্রতিষ্ঠান পরিচারিত করবেন। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন বলেও জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুপ্রভা রানী জানান, ফিজিওথেরাপি, ওষুধের ব্যবসা, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রত্যকটির জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স করতে হবে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ছাড়া আল্ট্রাস্নোগ্রাফি, ইসিজি কেউ করতে পারবেন না। যদি লাইসেন্স ছাড়াই এগুলো কেউ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন জুয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জনান, এধরনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলার কথা নয়, বন্ধ থাকার কথা। এ বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।