নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডের মুলোৎপাটনের লক্ষ্যে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ঘোষিত ৮ দফা কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গতকাল প্রেসক্লাব চত্বরে কলম বিরতি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান মৃধা পলাশ, মাহমুদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা আক্তার ডিউ, কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এস এম ওয়ালিদুজ্জামান শুভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালমান শাহারিয়ার রাজু, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহিদুল হক ডন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম রেজা বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য ফিরোজ কায়সার, জান্নাতুল ফেরদৌস, তৌফিক তপন, হাফিজুর রহমান জীবন, সোহাগ আহমেদ, সাধারণ সদস্য এইচ এম বেলাল, সাঈফ উদ্দিন আল আজাদ, স.ম লাভলু, হাবিবুল্লাহ, আরিফ খন্দকার, রাজু আহমেদ, মিঠুন আহমেদ, জিল্লুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, আক্তার হোসেন ফিরোজ, সুমন মাহমুদ, ফয়সাল চৌধুরী, সম্রাট আলী, তরিকুল ইসলাম মিন্টু, আলামিন প্রমুখ।
কলম বিরতি সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের একদফা এক দাবি সেটি হচ্ছে সাংবাদিক রুবেলের খুঁনিদের গ্রেফতার, হত্যার মোটিভ উদ্ধার এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি। আজ আমরা অবাক হয়েছি, কয়েকটি পত্রিকায় আমাদের চলমান আন্দোলনকে পুঁজি করে নিহত সাংবাদিক রুবেলের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে পুলিশ সুপার প্রত্যাহারের বিষয়টি সামনে এনেছে। অথচ আন্দোলনের কোথাও পুলিশ সুপার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়নি। বর্তমান পুলিশ সুপার খাইরুল আলম একজন মিডিয়াবান্ধব ব্যক্তিত্ব। তিনি কুষ্টিয়ায় যোগদানের পর এ পর্যন্ত কোন অপরাধী পার পায়নি। এমনকি কৃষকের চুরি যাওয়া গরু, প্রতারিত টাকা, হারানো মোবাইল পর্যন্ত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আমরা বিশ্বাস করি খুব শিঘ্রয় সাংবাদিক রুবেল হত্যার খুঁনিদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় সোপর্দ করবেন। কিন্তু একটি চক্র সাংবাদিক রুবেল হত্যার বিষয়টি সাগর রুনির মতো ধামাচাপা দিতে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। রুবেল হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকে সরকার, প্রশাসন ও পুলিশ বিরোধী কর্মসূচীতে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। যার সাথে সাংবাদিকদের কোন সম্পর্ক নেই।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার মিডিয়াবান্ধব সরকার। এই সরকারের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীনমতো তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছে। এছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠনের মাধ্যমে আহত, নিহত ও প্রয়াত সাংবাদিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অথচ জামায়াত বিএনপিপন্থী চক্রটি সাংবাদিক রুবেল হত্যাকান্ডকে এবং খুঁনিদের গ্রেফতারের বিষয়টি সামনে না এনে সরকার ও পুলিশ বিরোধী সমালোচনায় লিপ্ত। গণমাধ্যমকর্মীরা অবিলম্বে সাংবাদিক রুবেল হত্যার খুঁনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির একদফা দাবিতে অনড় রয়েছে। এরমধ্যে কোন সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী চক্র যেন আমাদের ঘর পোড়ার আগুনে আলু পোড়াতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।