প্রথম রাজধানী:
মিড ডে মিলের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডার জেরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র মিলে পিটিয়েছে এক অভিভাবককে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দাবি এ অভিবাবকই উল্টো বিদ্যালয়ের শিক্ষককে পিটিয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনীর জোড়পুকুরিয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার ওই অভিভাবক জোড় পুকুরিয় গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে খাব্বাব বিন সাইফুল।
আহত খাব্বাব বিন সাইফুল জানান, তার বোন ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তার জন্য মিড ডে মিলের চাল ও টাকা দেয়ার জন্য শ্রেণী শিক্ষক গোলাম রসুলের কাছে যান। সেখানে টেবিলে হাত রাখায় এ শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালালমন্দ করেন। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে যেয়ে প্রতিবাদ করেন খাব্বাব বিন সাইফুল। এক পর্যায়ে শিক্ষক গোলাম রসুল তাকে কিল ঘুষি মেরে শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেন। শ্রেণী কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার সময় তাকে সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নান সিঁড়ির নিচে বেদম প্রহার করেন ও ছাত্রদেরকে লেলিয়ে দেন। এর পর স্কুল শিক্ষক মিজান ও ছাত্র আকাশসহ আরো কয়েকজন মিলে খাব্বাব বিন সাইফুলকে বধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
ওখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় জোড়পুকুর বাজারে। প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
খাব্বাব বিন সাইফুলের মা দিলরুবা কান্না করে বলেন, তার সামনেই সবাই মিলে ছেলে খাব্বাবকে মারধর করতে থাকেন। অনুরোধ করার পরও কেউ শোনেনি। বরং অনেকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
প্রধান শিক্ষক হাসান আল নূরানী মোবাইল ফোনে বলেন, খাব্বাব বিন সাইফুল একজন মোবাইল নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি। সে বিদ্যালয় ঢুকে শিক্ষককে ঘুষি মারে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে। আমি যেয়ে তাকে ঠেকায়। খবর পেয়ে তার মা এসে ক্ষমাও চেয়েছেন। তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ে যে মিডডে মিল চলে তা উনার নিজস্ব সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য। তিনি আরো বলেন এ অভিযোগে এমন কিছুই হবেনা। তদন্ত হবে, আমাকে খুব বেশী হলে ভৎষনা করবে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাহবুবুল হক পোলেন
মেহেরপুর
০১৯১৪২৩৩৬২৬
পূর্ববর্তী খবর