মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাঠমিস্ত্রী আক্তারুজ্জামান এখন হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানুষ গড়ার কারিগর। আক্তারুজ্জামান গ্রামে কাঠমিস্ত্রী কাজ করতেন। কোন রকম এসএসসি পাশ করেছেন। অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া না করে পাড়ি জমায় বিদেশে। বিদেশে থাকাকালিন প্রধান শিক্ষক ও তৎকালীন সভাপতি নিয়াত উল্লাহর আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে আক্তারুজ্জামানকে কৃষি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন। নিয়োগের ২ বছর পর দেশে ফিরে আক্তারুজ্জামান বনে যান হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক। চাকরির ১৪ বছর পর উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি অটো পাস করেছেন ।
এ বিষয়ে আক্তারুজ্জামান জানান,আমি ২০০১ সালে এসএসসি পাশ করেছি। এরপর অভাবের তাড়নায় প্রবাসে চলে যাই। আমার স্ত্রী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে স্কুলে জমা দেন। ২০০৭ তাহলে প্রবাস থেকে ফিরে এসে কৃষি ডিপ্লোমা করি। কৃষি ডিপ্লোমা কোন কলেজ থেকে করেছি এই মুহুত্বে বলতে পারছিনা। তবে কৃষি ডিপ্লোমার বিষয়ে সবকিছু জানেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান জানান,আক্তারুজ্জামান ২০০৫ সালে কৃষি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নিয়েছেন। প্রবাসে যাওয়ার আগে যোগাযোগ করে গিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে সে প্রবাস থেকে ফিরে। এসময় স্থানীয়দের চাপের মুখে তাকে সহকারী কৃষি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তাকে সহকারী কৃষি শিক্ষক পদ থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে অফিস সহায়ক পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন সম্প্রতি হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিও নিবন্ধিত হয়েছে। কৃষি শিক্ষক আক্তারুজ্জামানে পিডিএস আইডি নং-১০১৪৭১১৮৪।
গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। বিদ্যালয়টি এমপিও হয়েছে। শিক্ষকদের সকল তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে। যদি তার কাগজপত্রে সমস্যা থাকে যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয় হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম জানান, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজিপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মনিরুজ্জামান বিপ্লব জানান,২০২১ সালে আক্তারুজ্জামান এইচএসসি অটো পাস করেছে। বর্তমানে উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রথম বর্ষে ভর্তি রয়েছে।