প্রথম রাজধানী :
১০ টাকা জমা দিয়ে ১২% সুদের বিনিময় এক লক্ষ টাকা ঋণ। ১ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ। জামানত হিসাবে টাকা জমা দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে সোনালী ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুয়া সংগঠন। “মানবতার সেবায় আমরা গড়বো আগামীর দিন”।
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ শাহিদ মেহেরপুর শহরের যাদবপুর ব্রিজের কাছে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সোনালী ফাউন্ডেশন মেহেরপুর ব্রাঞ্চ খুলে বসে। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ শাহিদ মেহেরপুর শহর সহ শহরের আশেপাশের গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হয়ে তাদেরকে মোটা অংকের লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
ব্যবসায়ীরা সহজ শর্তে অধিক পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য শাহিদের মিষ্টি কথায় মেহেরপুর পশু হাসপাতাল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ১ লক্ষ টাকা। মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী ২০ হাজার টাকা।
যাদবপুর দক্ষিণ পাড়ার মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা ১০ হাজার টাকা। গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে রিপন ৭৮ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাদের সহজ-সরল কথায় টাকা জমা দেয়। কথা ছিল বৃহস্পতিবার তাদেরকে ঋণ প্রদান করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালের দিকে শাহিদের কাছে ফোন করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে সকলের সন্দেহ হয়। পরে তাদের নির্ধারিত অফিসে এসে দেখে অফিস তালা মারা। কোন লোকজন সেখানে নাই। এ ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পর অফিসের সামনে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যে জামানত প্রদান কারীরা ভিড় জমাতে থাকে। এ সময় বাড়ির মালিক বিপুল কেউ সেখানে পাওয়া যায়নি।