প্রথম রাজধানী :
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুুজবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজক দলের সদস্য ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবনগরের ভবরপাড়া গ্রামের আব্দুল মোমিন চৌধুরী (৮৫) আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ২ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ বুধবার বাদ আছর ভবরপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কামনা করা হয়েছে।
তার কিডনিতে পাথর ও বার্ধক্য জনিত কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উল্লেখ্য,যখন সারা দেশে যুদ্ধ চলছিলো তার মধ্যেও ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ এ বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনে যার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল তার নাম আব্দুর মোমিন চৌধুরী। শপথের কয়েকদিন আগে থেকে মঞ্চের জন্য বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসা, এলাকার মানুষকে একত্রিত করা এবং তৎকালীন এসডিও তৌফিক-এ-ইলাহি চৌধুরীরর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন আব্দুল মোমিন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ বেগবান করা এবং ভারত থেকে ত্রাণ সংগ্রহ ও এসডিও’র কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব সাথে পালন করেছে তৎকালীন ভবরপাড়া সংগ্রাম কমিটি। যে কমিটির আহবায়ক হিসেবে সততা ও নিরলস শ্রম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতা করেন আব্দুল মোমিন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে গিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা হয়নি। ফলে মেলেনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি। তবে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগরের ইতিহাসের সাথে আজীবন মিশে থাকবে আব্দুল মোমিন চৌধুরীর নাম।
জানা গেছে, আব্দুল মোমিন চৌধুরী প্রায় ৩০ বছর ধরে বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলিষ্ট হাতে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়েছেন দূর থেকে বহুদূর। সম্মান স্বরুপ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপদেষ্টা পদে আসিন হন তিনি।