মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শেফালী পারভিন বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষ দখল করে চতুর্থ ও ৫ শ্রেনীর ৪০/৫০ জন শিক্ষথীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এসময় বিদ্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা কমলমতি শিশুদের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান এধরনের প্রাইভেট পড়ানো সম্পূর্ণ আইন বিরোধী ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তবে সহকারী শিক্ষিকা শেফালী পারভিনের দাবি তিনি শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বিদ্যলয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন।
বিদ্যালয়ে অভিবাবক ও কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, শেফালী ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরিক্ষার খাতায় নাম্বার কম দেওয়ার ভয় দেখান। শ্রেণীকক্ষে অযথা বকাবকি করেন, শাররিক ও মানষিক নির্য়াতনও করেন।
কয়েজন অভিভাবক আরো বলেন ইতিপূর্বে বিষয়টি আমরা প্রধান শিক্ষকসহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আভিযোগ করেছি কোন সমাধান পাইনি। উনার মানসিক নির্যাতনে ছেলে মেয়েরা আতংকে বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছেনা। তাই নতুন বছরে তাদের বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করবো।
সহকারী শিক্ষক শেফালি পারভিন বলেন শিক্ষামন্ত্রী আপা প্রাইভেট পড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন তাই আমি পড়াচ্ছি। তবে অনুমতিপত্র এখন দেখানো সম্ভব নয়। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অবগত আছেন ।
সহকারি শিক্ষক সালমা পারভিন বলেন, শেফালি পারভিন অনেক দিন থেকেই সকাল সাতটা থেকে ৯ টা পর্যন্ত একসাথে বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণীকক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর দুটি ব্যাচে প্রাইভেট পড়ান । এতে উনারও আল্পকিছু আয় হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উপকার হয়।
প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, করনাকালিন স্কুল বন্ধর মধ্যে উনি ছোট পরিসরে প্রাইভেট পড়াতো। তারপর তাকে বন্ধ করে দিতে বলেছি। তিনি আরো বলে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো চাকুরি বিধির লংঘন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফিল উদ্দিন বলেন । এখন কোচিং করানোর বিষয়ে কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ আছে । আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়ানো একদমই নিষিদ্ধ । আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেব ।তবে শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতির বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।