মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী শহরের উত্তরপাড়ায় দুই সুদ কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।এসময় তাদের কাছ থেকে ৩২০টি বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক, ছয়শত ৬৯ টি ননজুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প, ১৩টি টালী খাতা,পাঁচটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণের চেইন জব্দ করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সুদ কারবারির আনিসুর রহমান।গতকাল শনিবার(১১ মার্চ) রাত নটার দিকে অভিযান পরিচালনা করে গাংনী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, হাজী ছমির উদ্দনীর ছেলে আবু হানিফ(৪৫) ও ইউনুস আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম(৫৫)।গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার(১২ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।পলাতক সুদ কারবারিকে আনিচুর রহমানকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয়রা জানান,বিপদে পড়া মানুষ তার কাছে থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে সুদের জ্বালে আটকে যায়। টাকা নেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও সাদা স্ট্যাম্প সাক্ষর নেওয়া হয়।টাকা দেওয়ার পর থেকে সুদ কারবারিদের জুলুমের শিকার হন অনেকেই।চড়া সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে দেওয়া চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়।তার কারণে আজ অনেকেই ভিটা-মাটি বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন। তারা আরোও জানান, শুধু আবু হানিফ ও আনারুল ইসলাম নয় গাংনীতে অনেকেই এমন সুদের টাকা ছেড়ে রেখে এনজিও নামে চালাচ্ছে।সেই নামধারী এনজিওর টাকা উত্তোলন কারীদের সন্ধা হলে দেখা যায় গাংনী শহরের বিভিন্ন দোকানে টাকা উত্তোলন করে। এসব নামধারী এনজিও কারবারিরা কখনও প্রশাসন ও আবার কখনও রাজনৈতিক কোথায় থাকার কারণে তারা রমরমা হবে চালিয়ে যাচ্ছে এনজিওর নামে সুদের কারবার।এই সকল এনজিও নাম ধারী সুদ কারবারিদেও আটক করে আইনের আওতায় দেওয়ার দাবি জানান তারা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে গাংনী থানা ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মিনারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জিম্মা রেখে সুদ কারবারি আবু হানিফের কাছে থেকে এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন। সেই টাকা সুদসহ দুই লাখ ২০হাজার টাকা হয়।মিনারুল ইসলামের টাকা ফেরত দিতে দেরি হলে আবু হানিফ মোটরসাইকেল টি বিক্রি করে দেন।এ ব্যাপরে মিনারুল ইসলাম থানা অভিযোগ করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম অভিযান চালিয়ে আবু হানিফেরর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমানে ব্লাঙ্ক চেক,সাদা সাক্ষর করা স্ট্যাম্প,মোটরসাইকেলে, স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানা এসআই মাসুদুর রহমান বাদি হয়ে পেনাল কোর্ড- ৩৪/৪০৬/৪২০/৪২৩/৪২৩/৪২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং-১৪, তারিখঃ ১২-০৩-২৩।এ মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।