মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা দাবি করেছেন মতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একমাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধী সংসদসদস্য। তাই উনাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদান না করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর সাংবাদিকদের সাথে জেলা আওয়ামীলীগের মত মত বিনিময় সভা এ দাবি জানান।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলীর সভাপতিতে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর মান্নান, অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এম এস ইমন, মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, মেহেরপুর সদও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ^াস প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বলকরছেন। দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী চক্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভীত প্রদর্শন ও গত ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করান। ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর-১ আসনে আগামী নির্বাচনে মোননয়ন প্রত্র প্রদান না করার দাবি জানাচ্ছি। যদি উনাকে পুনরায় নৌকার মাঝি করা হয় আথাৎ আমাদের যদি নৌকার মাঝি পছন্দ না হয় তাহলে আমরা নৌকায় ভোট দেবনা। বক্তারা আরো বলেন ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী হোসেন মনালিসা মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরোধিতা করেছেন। গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ত্যাগী নেতা কর্মীদের ফরহাদ হোসেন বিতারিত করার চেষ্টা করেছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছে তাদের প্রশাসন দিয়ে নির্যাতন করিয়েছেন। মেহেরপুরের আওয়ামী লীগ আজ ছন্ন ছাড়া। উনি ছাত্র জীবনে শিবীর করতেন। তার বড় ভাই মেহেরপুরের গণফরামের সভাপতি ছিলেন।
এর পর পরই মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল সামদ বাবলু বিশ^াসের নেতৃত্বে মেহেরপুর আওয়ামী লীগ কার্যলয়ে ফরহাদ হোসেনের পক্ষে সাংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ কোন বিভাজিত নয়। আজকে যারা বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেন তারা কোনদিন আওয়ামী লীগের বাক্সে ভোট দিয়েছে কিনা তা সন্দেহের। এরা সবসময় সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।